মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির তালিকায় অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে।
আজ বৃহস্পতিবার ৪ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেন ২নং ওয়ার্ডের দালালটারী এলাকার আব্দুল আজিজের পুত্র ও ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক জনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মানবিক সহায়তা কর্যক্রমের আওতায় অসহায়, অস্বচ্ছল ও কর্মহীন পরিবারকে ২হাজার ৫শত টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে কিন্তু লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ স্বজনপ্রীতি করে রেশন কার্ডপ্রাপ্ত তার নিজস্ব কর্মীদের নিয়মবর্হিভূতভাবে ৩০জন ব্যক্তিকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এমনকি অসহায়, অস্বচ্ছল ও কর্মহীন পরিবারকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে একাধিক স্বচ্ছল ও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক জনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদ রেশনকার্ডপ্রাপ্ত ও স্বচ্ছল অনেক ব্যক্তিকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করছেন, আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো আমার অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক অসহায়, অস্বচ্ছল ও কর্মহীন মানুষের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হোক।
লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৩শত ২৩জন ব্যক্তি মানবিক সহায়তা কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে ১০-২০জন বিভিন্ন ভাতাভুগি ও রেশন কার্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিও মানবিক সহায়তার তালিকায় থাকতে পারে।
তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমি ৮নং ওয়ার্ড থেকে রেশন কার্ড এনে আমার ওয়ার্ডের মানবিক সহায়তার তালিকায় থাকা অনেক ব্যক্তিকে সেই কার্ড দিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, রেশনকার্ড প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি এই কর্মসূচির তালিকায় থাকতে পারবেন না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করেবো।