হেলাল হোসেন কবির: রাজনীতিকভাবে শান্ত লালমনিরহাটকে অস্থির করতে তিস্তা নদীর বালুকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’র ছবি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ভাগ বন্টন নিয়ে কোন্দল থাকায় শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
তবে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ইউপি সদস্য রুহুল আমিন দুদু, ধর্ষণ মামলার আসামী জুয়েল হোসেন রিপন, স্থানীয় চিকিৎসক জাহাঙ্গীর হোসেন ও জেলা যুবলীগের নেতা সৈকত আহমেদ বাবুলসহ ২৫/৩০জন মিলে এই হামলা চালিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
আরও কিছু সূত্র থেকে জানা যায়, তিস্তা নদীর বালুর টাকার ভাগ জেলা নেতাদের কাছেও যেতো। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় নেতারা ভাগ বসানোর চেষ্টা করায় ফাটল ধরে তাদের মাঝে।
এদিকে গোকুন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ আসাদুজ্জান রুবেল তার ফেইসবুক পেইজে লেখেন “এ লজ্জা লুকাবো কোথায়।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কুপিয়ে ছিড়ে ফেলার এ লজ্জা, আমরা সইতে পারছি না।
গোকুন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, তিস্তা নদী রক্ষা কল্পে, অবৈধ ভাবে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন কারীদের বাঁধা দান করায়, গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবিকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে কিছু এবং গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করে৷
এই চোরাকারবারি, ধর্ষক ও মাদক কারবার কারীদের মদদদাতাসহ সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে সকলকে এক হয়ে এদের প্রতিহত করার আহবান জানাচ্ছি।
প্রশাসনের কাছে এই রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই।”
তবে প্রতিবেদনটি তৈরি করার সময় জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছে, তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।