শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে অবাদে বালু উত্তোলন করছে ভূমি দস্যুরা

লালমনিরহাটে অবাদে বালু উত্তোলন করছে ভূমি দস্যুরা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াবদা বাজার ও শিবেরকুটি এলাকার দুটি পয়েন্ট থেকে অবাদে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একদল ভূমি দস্যু।

 

দীর্ঘদিন যাবৎ ধরলা নদী থেকে তারা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অধিক পরিমাণে বালু উক্তোলন করার ফলে এলাকার কৃষি জমির মারাত্মকভাবে ক্ষতি  সাধিত হচ্ছে। ঐ এলাকাসহ আশেপাশের বেশকিছু এলাকা শেখ হাসিনা ধরলা সেতু, কুলাঘাট রত্নাই নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রীল ব্রীজ, চর শিবেরকুটির ভাংগা ওয়াবদা বাঁধ এবং শেখ হাসিনা ধরলা সেতু নিরাপদে রাখার জন্য নদীর দুই পাড়ে বুলেট দিয়ে যে বাঁধ তৈরী করা হয়েছিল সেটিও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।

 

ভূমি দস্যুদের উত্তোলনকৃত বালু ও মাটি লালমনিরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। কুলাঘাট ঝুঁকিপূর্ণ  স্ট্রীল ব্রীজের উপর দিয়ে শতাধিক বালুভর্তি ট্রাক্টর  প্রতিনিয়ত পাড়াপাড় হওয়ার ফলে উক্ত ব্রীজটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়টি লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়কে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে যান, তাঁর উপস্থিতি জানতে পেরে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়।  ইউএনও ফিরে আসার পর আবার বালু উত্তোলন শুরু করে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার। বালু ব্যবসায়ীদের হাত অনেক লম্বা ও বিত্তবান হওয়ায়, স্থানীয়দের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ভয়ে কিছু বলতে চায়নি।

 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুলাঘাট ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে দুটি পয়েন্টের মধ্যে ১টি পয়েন্ট বন্ধ আছে, ওয়াবদা বাজারের পূর্বপাশে আরেকটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি কার্যক্রম চালু আছে।

 

তিনি আরও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জোবাইদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মন্টু, আব্দুল জব্বার, এমদাদুল হক, মিলন বিশ্বাস, স্বপন সরকার, হারুন অর রশিদ, কামিনী কান্তি রায় ও মুকুল  স্বাক্ষরিত বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ২নং কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, অফিসার ইনচার্জ ও প্রেসক্লাব বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ওয়াবদা বাজার ও শিবেরকুটি এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবি যাতে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone