শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লালমনিরহাটে তুলার চাষে লাভের মুখ দেখছে কৃষেকরা লালমনিরহাটে কর্মসৃজন কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা
লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় বীর প্রতীক!

লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় বীর প্রতীক!

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন প্রয়াত এমপি আবুল হোসেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, গণপরিষদের সদস্য ছাড়াও সংবিধানে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে অন্যতম একচন ছিলেন। অথচ মহান স্বাধীনতার ৫০বছর পর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)র মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু আবুল হোসেন নন, এ তালিকায় লালমনিরহাট জেলার একমাত্র বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হকের নামও এসেছে।

 

যথাক্রমে তালিকার ১৪০ ও ১৭৬ নম্বরে আছেন তারা। স্বীকৃত দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই করা নিয়ে পরিবারের সদস্য এবং লালমনিরহাট জেলার অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা হতাশার সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তালিকায় এভাবে নাম আসাটা তারা মেনে নিতে পারছেন না।

 

জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘বেসামরিক গেজেটে’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের নাম সংশোধন করে নতুন করে ৩৮হাজার ৩শত ৮৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হয়। যদিও গত ৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করে জামুকা।

 

জামুকার তালিকায় দেখা গেছে, ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় নাম আছে, এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে ওই যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায়। এমনই দুজন হলেন লালমনিরহাট জেলার প্রয়াত আবুল হোসেন ও আজিজুল হক।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল তাঁদের পিএইচডি প্রোগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত আবুল হোসেনের বীরত্বপূর্ণ অবদানের ওপর গবেষণা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। আবুল হোসেনের বড় ছেলে অ্যাড. গোলাম হায়দার শিশু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেরোবি’র অনুমোদনের ফলে মুক্তিযুদ্ধে বাবার অবদান নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গবেষণা করবে।

অথচ এখন বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা আমাদের প্রমাণ করতে হবে। সন্তান হিসেবে এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।’

 

অন্যদিকে তালিকায় নিজের নাম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক বীর প্রতীক। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোন দেশে আছি, ভাবতেই পারছি না! জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমাকে আবারও প্রমাণ দিতে হবে আমি দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি।’

 

তিনি আরও সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে ইচ্ছুকদের রিক্রুটিং কর্মকর্তা হিসেবে জামুকার বর্তমান সদস্য মোতাহার হোসেন এমপিকে আমি নিয়োগ দিই। ভারতের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ ক্যাম্পের রিক্রুটিং বোর্ডে আমি ছাড়াও সেদিন মেজর নওয়াজেশ আলী খান, ডাঃ এম এম খান উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাই তালিকায় আমি থাকলে মোতাহারের নামও থাকা উচিত।’

 

লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবুল হোসেনের প্রশিক্ষণে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে, এখন তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে জামুকা। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা না করে শ্রদ্ধেয় ও স্বীকৃতদের নিয়ে টানাটানি করছে, যা খুবই অপমানজনক।’

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু বক্কর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি হয়নি। কমিটিতে আমি থাকলে সদর উপজেলার ১শত ৯৩জনের মধ্যে ‘গ’ ক্যাটাগরির ৬৭জনকে ডাকবেন।’

 

শ্রদ্ধেয় ও স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকা সমীচীন হবে না বলে মনে করেন তিনি।

 

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির লালমনিরহাট সদর উপজেলার সদস্য সচিব ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামুকা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তালিকা পাঠিয়েছে। এতে শ্রদ্ধেয় ও স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় আমরা বিব্রত।’

 

এ বিষয়ে জামুকার সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট-০১ আসনের এমপি মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে কাজ করছে জামুকা। যাদের কাগজপত্রের কমতি রয়েছে, তাদের সবাইকে আগামী ৩০ জানুয়ারি ডাকা হবে।’

 

প্রয়াত আবুল হোসেন ও আজিজুল হকের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা ভাতা পাচ্ছেন, তাদের সবাইকে ডাকা হবে। এখানে কেউ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে, স্বাভাবিকভাবে তিনি তো মুক্তিযোদ্ধা বলে বিবেচিত হবেন না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone