মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশীতে এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রিক্সাচালক লাভলু মিয়া বাদী হয়ে ৩জনের নামে আদিতমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী এলাকার রিক্সাচালক লাভলু মিয়ার মেয়ে ও পলাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী স্কুল যাওয়া আসার সময় একই এলাকার রেজাউল করিম ওরফে আলমের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাকিল মিয়া (১৯) নানা সময়ে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত।
এ অবস্থায় চলার এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মাঝে সম্পর্ক চলা অবস্থায় নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ অবস্থায় গত ১৫ মে রাতে শাকিল তার বাড়ির পার্শ্বে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে বাঁশ ঝাড়ে ধর্ষণ করেন। পরে দু-জনে শাকিলের বাড়িতে গেলে তার বাবা রেজাউল করিম (৫০) ও মা সেলিনা বেগম (৪০) সোহাগীকে মার, ডাং করিয়া জখম করে বাড়ি থেকে বাহির করে দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু সোহাগী বাড়ি থেকে বাহির না হয়ে অবস্থানকালে এলাকার মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্থানীয়ভাবে সমাধান করবে বলে লাভলু তার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
এদিকে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সমাধান না হওয়ায় গত ১৯ মে সেহাগী বিয়ের দাবিতে অনশন করতে শাকিলের বাড়িতে চলে আসেন। আবারও শাকিলের বাবা-মা একই অবস্থায় মারপিটসহ নানাভাবে নির্যাতন করে এবং মেয়েকে তাহার বাড়িতে আটকিয়ে রেখে ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পরে মেয়ের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় ২০ মে মেয়ের বাবা লাভলু মিয়া বাদী হয়ে প্রেমিক শাকিল মিয়া ও তার বাবা-মার নামে আদিতমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১৩, তারিখ-তারিখ-২০-০৫-২০২০ইং।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।