আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে প্রতিবছরই কমছে তামাক চাষ। তার পরিবর্তে জমিতে লাগানো হচ্ছে ভুট্টা, আলু আর বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সবজি জাতীয় ফসল। বিগত ২বছর আগে লালমনিরহাট জেলায় ৯হাজার ১শত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হত। গত বছর (২০১৯) তামাক চাষ হয়েছে ৮হাজার ৯শত ৫০হেক্টর জমিতে। আর এ বছর ২০২০ সালে এ পর্যন্ত ৩হাজার ৫শত ৫৫হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, তামাক চাষ করলে কৃষি জমির মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। জমির অন্য ফসল চাষে প্রভাব পড়ে।
কৃষকরা আরও বলছেন, তামাক চাষে শ্বাসকষ্টের সমস্যাসহ অন্য শারীরিক সমস্যাও হয়, তারা জেনেছে তামাক চাষে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও আছে। এই সচেতনতা থেকেই অনেক কৃষক তামাক চাষ ছেড়ে ভুট্টা, আলুসহ অন্য সবজি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী জানান, গত কয়েক বছর আগেও তামাক চাষ করেছিলেন এখন তিনি তামাক চাষ পুরোপুরি বাদ দিয়ে ভুট্টা, আলু চাষ করেছেন। তামাক চাষে অনেক পরিশ্রম ও সেই সাথে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই এ তামাক চাষ করা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
লালমনিরহাট কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে তামাক চাষ হয়েছিল লালমনিরহাট জেলায় ৯হাজার ১শত হেক্টর জমিতে।
২০১৯ সালে তামাক চাষ হয়েছিল লালমনিরহাট জেলায় ৮হাজার ৯শত ৫০হেক্টর জমিতে।
২০২০ সালে লালমনিরহাট জেলায় ৩ হাজার ৫শত ৫৫হেক্টর জমিতে।
তবে প্রতি বছরই বিষাক্ত এই তামাক চাষ ছেড়ে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটের চাষীরা মর্মে জানা গেছে।