আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: জীবননাশের আশঙ্কায় আগাম অভিযোগ করেছেন সাবেক সেনা সার্জেন্ট আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ আলী (৭৩)। তিনি লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের খোর্দ্দ সাপটানা এলাকার বাসিন্দা।
সাবেক এই সেনা সার্জেন্টের আদিনিবাস কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার পশ্চিম রামখানা গ্রামে। প্রাননাশের আশঙ্কায় গত ১১-১১-২০২০ইং তারিখে পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম বরাবর একটি বিষয়ভূক্ত আগাম অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার আদিনিবাস কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার রামখানা গ্রামের মৃতঃ বছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার (৫৫) ও আজিজারের ছেলে আনিছুর রহমান (২৮) এর সাথে দীর্ঘদিন জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১৯-০৮-২০১৯ইং তারিখে নাগেশ্বরী উপজেলার ০১নং রামখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সরকার এর বাড়িতে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনীর উপস্থিতিতে একটি শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বেদখলকৃত ওয়ারিশের সম্পত্তি উদ্ধারের বিপরীতে ধামাচাপা দিয়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করে।
এদিকে গোটা পরিবারের অভিভাবকত্বের দাবিদার হিসেবে বিবেকের তাড়নায় আজিজার রহমান ও তার ছেলের সাজানো মিথ্যা ও জাল জালিয়াতির মামলায় ফাঁসিয়ে তার মুরগির খামার বহাল রাখতে থাকা অবস্থায় সাবেক সেনা সার্জেন্ট আলহাজ্ব জাবেদ আলী নাগেশ্বরী সহকারী জজ আদালত কুড়িগ্রাম এর অন্য- ৫৮/১৮নং, ফুলবাড়ী সহকারী জজ আদালতে অন্য ৪০/১৯ এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দন্ডিত আসামী আনিসুর রহমান এর ক্রিমিনাল আপিল ৭৩/১৫ যার সূত্রপাত আনিসুরের পিতা আজিজার তার জিবন রক্ষায় তার একমাত্র ছেলে আনিসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মোবাইল কোর্ট কেস নং-৯/১৪ পরিচালনা মাধ্যমে কারান্তরীন করান।
পরে পিতার অবর্তমানে এডিএম কোর্ট কুড়িগ্রাম এ আপিল দায়ের করে জামিনে মুক্ত হলেও জামিন না মঞ্জুরে তাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিতে সে টিকতে না পেরে ১বছর পর উপরোক্ত ক্রিমিনাল আপিল ৭৩/১৫ দায়ের করে নিজে গরহাজিত থেকে উকিল মাধ্যমে সময়ের আবেদনের পর আবেদন করে দীর্ঘ ০৫বৎসর অতিবাহিত করে আইন আদালতকে বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শন করে দাপটে সবকিছু ম্যানেজ করার এক পর্যায়ে তার মোকদ্দমা নং অন্য ৫৮/১৮ এ নিয়োজিত ০৩জন উকিল সাজানো আমমোক্তার নামা যাহার ক্রমিক নং-৩২/১৮২, তারিখঃ ১৬-০৪-২০১৮ইং এ জেরে জরিত সংশ্লিষ্ঠতার জেরে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের ০৩জন সংশ্লিষ্ঠ উকিলের বিরুদ্ধে জাবেদ আলি তাদের পেশাগত আসদাচরনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ আদালতে বিষয়টি তুলে ধরে। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের বার-সমিতি সভাপতি সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। তৎপ্রেক্ষিতে সভাপতির নির্দেশনা মতে জাবেদ আলী অভিযোগের বিচারের জন্য ৬৩নং রশিদ মূলে বার-সমিতির অফিসে ২,০০০/- টাকা জমা করেন।
এদিকে জামিনে থাকা আসামি আনিসুর রহমান ও তার পিতা আজিজার রহমান এক জোট হয়ে ১৬ আনা সম্পত্তি গ্রাস করার এক পর্যায়ে জাবেদ আলী উপরোক্ত মোকদ্দমাগুলিতে এভিডেবিট সম্পাদন পূর্বক মামলাগুলি বিজ্ঞ আদালতের অনুমোদনক্রমে স্বয়ং পরিচালনার কারনে পিতা পুত্র ক্ষিপ্ত হয়ে জাবেদ আলির বিচ্ছিন্ন পরিবারবর্গের অপুরনিয় ক্ষতিসাধন সহ জাবেদকে প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদর্শন করে। এমন অবস্থায় গত-১৫-০৫-২০২০ইং তারিখে জমি-জমার মামলাগুলির আক্রসে পিতা পূত্রদয় জোট হয়ে আজিজারের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত জাবেদের পিতা ও বড় ভাইয়ের শানবাঁধানো কবরের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং কবরে জুতা মারার হুমকি দেয় ও জাবেদকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ভিত সন্তস্ত জাবেদ আলী নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন যাহার ডায়রী নং-৮৮০, তারিখঃ ২১-০৭-২০২০ইং এবং নাগেশ্বরী থানার নন এফআইআর প্রসিকিউসন নম্বর-১১/২০২০ তারিখঃ ২৪-০৮-২০২০, এমতাবস্থায় সাবেক সেনা সার্জেন্ট জাবেদ আলী অনিবার্য কারনে উপরোক্ত মামলাগুলি বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে স্বয়ং পরিচালনার বাধ্যবাধকতার কারনে ধার্য তারিখে লালমনিরট থেকে কুড়িগ্রাম যাতায়াত কালে তাহার জীবন নাশের আশঙ্কায় আগাম একটি বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ দালিলিক প্রমানাদির আলোকে প্রতিষ্ঠিত করেন।