আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক ও শিক্ষক আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েল (৫০) কে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৫জন আসামীর ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আদালত-৩ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের পুত্র আশরাফুল আলম (২২), বায়েজিদ (২৪), ইউসুব আলী ওরফে অলি হোসেনের পুত্র রফিক (২০), আবুল হাসেমের পুত্র মাসুম আলী (৩৫) ও সামছিজুল হকের পুত্র শফিকুল ইসলাম (২৫)।
গত ২৯ অক্টোবর বিকালে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার দায়ে নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত যুবক আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক ও শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
ঘটনাটি তদন্তে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মোমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েলের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার এসআই শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাস্থল তদন্ত করে মসজিদের কোরআন অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত দলের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির। এটা স্রেফ একটি গুজব বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়াও হত্যার পেছনে ধর্ম অবমাননার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান।