আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প এলাকার উজানে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করেছে পাউবো।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নের অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি পরিমাপক) এএসএম আমিনুর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি পরিমাপক) এএসএম আমিনুর রশীদ বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মতো রংপুর অঞ্চলেও প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এভাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম সহ বিভিন্ন প্রদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরমধ্যে পাহাড়ী ঢলও রয়েছে। এসব কারণে ফের তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। আবার একইদিন শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়। রাতে আরো পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৬৯৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নাম-তালিকা পাওয়া গেছে। বন্যা কবলিত এসব পরিবারের মাঝে জিআর চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।