আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ করে এখন বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের উজানে শুক্রবার বিকাল ৩টায় পানিপ্রবাহ পরিবাপ করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের গেজ মিটার পাঠক মোঃ নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহিত হচ্ছে। দু’এক দিনের মধ্যে আরো পানি কমতে পারে।
স্থানীয় লোকজন ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন জানায়, গত এক সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিপাতে এক দিকে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তেমনি হঠাৎ তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেওয়ায় নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। তবে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে এখন নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমন ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও শাকসবজি ক্ষেত ও সবজির বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলার উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, বন্যা দূর্গত মানুষের জন্য ১১৫ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৮১০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ ফারুক এমপি স্যার লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙন পরিদর্শনে আসছেন। তাঁকে তিস্তা ও ধরলা নদী শাসনের সার্বিক বিষয়ে অবগত করা হবে।’
লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, পঞ্চম দফার বন্যায় জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬৯৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের জন্য ১১৫ মেট্রিকটন জিআর চাল ও ৮১০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী এখন বিতরণ কার্যক্রম চলছে।