আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গোড্ডিমারীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমা হলো ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার। কিন্তু সেই বিপদসীমা অতিক্রম করে বর্তমানে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটারের আরো ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করেছে পাউবো।
উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের তিস্তায় আকর্ষিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকা সমূহ প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাটসহ রংপুর অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ থেকে টানাবৃষ্টিপাত হচ্ছে। একারণে তিস্তায় কিছুটা পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ছিল।
বুধবার দিনগত সন্ধ্যায় হঠাৎই তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। বিকাল তিনটায় বিপদসীমার ৩৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ সন্ধ্যায় বেড়ে উল্টো বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানিপ্রবাহ হচ্ছে।
বুধবার রাত ১০টায় এই তথ্য নিশ্চিত করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি পরিমাপক) এএসএম আমিনুর রশীদ বলেন, ভারতের সিকিম, শিলিগুড়ি, দার্জিলিংসহ আশপাশে ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এ পানি প্রবাহ করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ।
তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুরসহ রংপুর অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতেও নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তায় বন্যা দেখা দেওয়ায় অনেক মানুষের বাড়ী পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানিবৃদ্ধি পেয়ে আকর্ষিক বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করার নির্দেশনাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার করার কথা বলা হয়েছে।