আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে জীবিত ১০জন স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ১০নারীকে (স্ত্রী) অর্থের বিনিময়ে বিধবা ভাতা কার্ডে করে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আজিজুল হক অর্থের বিনিময়ে বেঁচে থাকা স্বামীদের স্ত্রীর বিধবা ভাতা কার্ড করে দিয়েছে। এবার নতুন করে ১৭টি বয়স্ক কার্ডের বরাদ্ধ পায়। তার মধ্যে ১০জনের স্বামী বেঁচে আছে এমন মহিলাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছে। এরা হলেন- কার্ড নং ১৬৫/১০৮৮ মোছাঃ কুলসুম বেগম পিতা বচ্চু স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হক, ১৬৮/১০৯১ মোছাঃ খোতেজা বেগম পিতা রহিম উদ্দিন স্বামী মোঃ নুর হক, মোছাঃ দুলালী বেগম পিতা ছইমুদ্দিন স্বামী তবারক, মোছাঃ ফাতেমা বেগম পিতা নছর মুন্সি স্বামী মনছার, মোর্শেদা বেগম পিতা ভদর মন্ডল স্বামী মোঃ মজু, রেশনা বেগম পিতা ওমর আলী স্বামী মোঃ ছাপার আলী, মোছাঃ ছফিয়া বেগম পিতা সামাদ স্বামী মোঃ জমসের, মোছাঃ ফরিদা বেগম পিতা ফয়েজ উদ্দিন মুন্সী স্বামী মোঃ আব্দুল হামিদ, ছালমা বেগম পিতা তমুর উদ্দিন স্বামী মোঃ আবুল হোসেন ও ১৭৬/১০৯৯ হাজরা বেগম পিতা কেতু শেখ স্বামী জব্বার আলী।
ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, তার ইউনিয়নে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নতুন করে ১৮৭জনকে বিধবা ভাতার কার্ডের রবাদ্দ পায়। বরাদ্দ জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যাদের ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ৮নং ওয়ার্ডে এই অনিয়মের বিষয়টি অবগত হয়েছি। তাই এখনো ঐ ইউপি সদস্যের বিধবা কার্ডের বিপরীতে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়নি।
আদিতমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা মোঃ রওশন আলী মন্ডল জানান, ইউপি সদস্যেদের দেয়া তথ্যে তালিকা চুড়ান্ত করা পর্যায়ে ছিল। এখনো তালিকা চুড়ান্ত হয়নি। তার আগেই অনিয়ম ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এসব কার্ড বাতিল করা হয়েছে। সমাজ সেবা কর্মকর্তা রিপোর্ট দিলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হবে। আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে তার কোন ক্ষমা নেই।
জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, যেকোন অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।