শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মরিচ চাষ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠন লালমনিরহাটে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে অবাধে শামুক-ঝিনুক নিধন চলছে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিবসহ ৭০ জন নিঃশর্ত খালাস লালমনিরহাটে পুঁইশাক চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা লালমনিরহাট সদর উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! লালমনিরহাটে করলায় লাভবান কৃষক লালমনিরহাটে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ক্রেস্ট ও সনদপত্র পেয়েছে মারিহা ও মাইশা দুই বোন লালমনিরহাটে কৃষকরা পাট শাক চাষে ঝুঁকছেন
লালমনিরহাটে ৬৬ বছরের বৃদ্ধকে বিয়ে করলেন কলেজ ছাত্রী আইরিন আক্তার

লালমনিরহাটে ৬৬ বছরের বৃদ্ধকে বিয়ে করলেন কলেজ ছাত্রী আইরিন আক্তার

লালমনিরহাটে ৬৬ বছরের বৃদ্ধকে বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ২২ বছরের কলেজছাত্রী আইরিন।

 

শনিবার (২২ মার্চ) রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দক্ষিণ কর্টতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

 

এতে দেখা যায়, কনে বেশে এক তরুণীকে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত এক বৃদ্ধ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের পরিচয় তারা এখন স্বামী-স্ত্রী। সম্প্রতি তারা বিয়ে করেছেন।

 

বড় পাটগ্রাম পৌরসভার দক্ষিণ কোর্টতলি এলাকার শরিফুল ইসলাম (৬৬)। কনে একই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী আইরিন আক্তার (২২)। আইরিন আক্তার নিজ ইচ্ছায় বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামকে বিয়ে করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইরিন আক্তারের সঙ্গে বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের পরিচয়। আইরিন আক্তার টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তার পড়াশোনার সব খরচ বহন করছেন শরিফুল। তার পড়াশোনার খরচ বহন করতে ব্যাংকের ছয় লাখ টাকা ডিপোজিট করেছেন তিনি। সেই টাকার প্রতিমাসের লভ্যাংশ তুলে আইরিন আক্তারের পড়াশোনার খরচ চালান। ১৫ বছর আগে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মারা যান। তখন থেকেই তিনি একা হয়ে পড়েন। এলাকায় বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম কারও দাদা আবার কারও নানা হিসেবে পরিচিত।

 

আইরিন আক্তার বলেন, অনেক আগে থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। তিনি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছেন। বন্ধুর মতো সব সময় আমার পাশে ছিলেন। আমি সজ্ঞানেই তাকে বিয়ে করেছি। তবে এ বিয়েতে আমার বাবা রাজি ছিলেন না। ভাই ও মা গিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

 

স্থানীয়রা জানান, আইরিন আক্তারের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। চতুর্থ শ্রেণি থেকেই আইরিনের পড়াশোনার খরচ দিয়ে আসছেন শরিফুল ইসলাম। তারা পারস্পরিক সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন।

 

বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম বলেন, আইরিন ছোট থেকেই অনেক মেধাবী। আমি তার পড়াশোনায় সহায়তা করছি। সে আমাকে নানা বলে ডাকে। সে আমাকে হুট করে বিয়ে করবে বললে আমি অবাক হয়েছি। আমি হতবাক হয়ে কয়েকদিন তাকে বোঝার সময় দিয়েছি। কিন্তু সে কোনোভাবেই মানেনি। আমাকেই সে বিয়ে করবে। তাই আমি বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়।

 

পাটগ্রাম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ৬৬ বছরের বৃদ্ধ সম্পর্কে নাতনীকে বিয়ে করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone