লালমনিরহাটের সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী হাসিনা বেগম (৪৫) এর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের ৪ দিন পর সেই দ্বি-খন্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাদল কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের নিকট হত্যাকাণ্ডের শিকার সেই নারী হাসিনার দ্বি-খন্ডিত মাথা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর মৌজাস্থ কুটিবাড়ী কাউয়ার চরে জনৈক উজ্জলের তামাক ক্ষেতের মাটির নিচ থেকে দ্বি-খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। (যাহা ভারতীয় সীমান্তবর্তী হইতে অনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে)।
পুলিশ জানায়, নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী মোঃ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহেরুন নেছা (৪৫) এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর মৌজাস্থ কুটিবাড়ী কাউয়ার চর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ৷ পরে জনৈক উজ্জলের তামাক ক্ষেতের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাসিনা বেগম (৪৫) এর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে পুলিশ ওই গৃহবধূ পরিচয় সনাক্ত করে তার স্বামী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা পোশাক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান উদ্ধার করে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম মোছাঃ হাসিনা বেগম (৪৫)। তিনি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার দড়িবস গ্রামের মৃত কাশেম আলী ও আছিমা বেগমের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাসিনা বেগমের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা পোশাক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ভ্যান চালক স্বামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী আশরাফুল ইসলাম চর কুটিবাড়ী গ্রামের নবাব আলীর ছেলে। নিহত হাসিনার প্রথম স্বামী আশরাফুলের সাথে বিবাহ হলে এক কন্যা সন্তানসহ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে দিঘলটারী গ্রামের নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে তার দ্বিতীয় বিবাহ হয়। সেখানেও এক কন্যা সন্তান হলে দ্বিতীয় স্বামীর সংসার ছেড়ে পুনরায় প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসে হাসিনা। পরে আবারও হাসিনার এক কন্যা সন্তান হয়।
হাসিনা হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ ও টাকা পয়সা এবং মাদক বিষয়টি থাকতে পারে।