আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার অাদিতমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিমেনের দাম বেশি নেয়াসহ নানান অনিয়মে নিমজ্জিত।
অনেকটা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে অাদিতমারী প্রাণিসম্পদ অফিস। এই অফিসের বর্তমান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। সম্প্রতি একটি বিল্ডিং করা হয়। নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে উপরের কর্মকর্তারা সেটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিলে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়।
কিছুদিন অাগে সজল নামের একজন গরুপালকের গরু অসুস্থ হয়। সজল এবং তার বাবা ভেটেরিনারি সার্জনকে ৫/৭দিন মোবাইল ফোনে কল দেন। তিনি কল রিসিভ করেন নি। অবশেষে গরুটি কয়েকদিনের মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে মারা যায়।
উপজেলার বড়াবাড়ি গ্রামের অাব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দুইদিন ভেটেরিনারি সার্জনকে ডেকেছিলেন। ২কিলোমিটার রাস্তা মোটর সাইকেলে অফিস টাইমে (দুপুর ১টা) গিয়েছিলেন। গরুর খামারীকে ভিজিট দিতে হয়েছে ৫শত টাকা।পরদিন ডাকার পর ভিজিট দিয়েছিলেন ৪শত টাকা। তাতে তিনি নারাজ হয়ে গরুর খামারীকে বেশ কিছু কথা শুনিয়েছেন।
উপজেলা ডেইরী মালিক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমানের বাড়ি প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে।
মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অফিস থেকে হেলালকে (স্বেচ্ছাসেবি পিয়ন) ডেকে নেন। গরুর সিমেন দেয়ার জন্য হেলালকেও দিতে হয় ৩শত টাকা। কিন্তু গরুটি গত দের বছর থেকে কনসেপ্ট করেনি। অথচ ২০ থেকে ২৫দিন অন্তর অন্তর সিমেন দিতে হচ্ছে।
খামারী ভেদে ৩শত থেকে ৫শত টাকা নিচ্ছে। অথচ গরুর সিমেনের সরকারি মূল্য ৩০টাকা।