শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
ভারতের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ চীনকে দিয়ে করাবে বাংলাদেশ!

ভারতের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ চীনকে দিয়ে করাবে বাংলাদেশ!

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: বছরের পর বছর ভারতের সাথে কূটনৈতিক ভাবে তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমস্যার সমাধান চাওয়া হলেও ভারতীয় পক্ষ থেকে কার্যত বিষয়টি অচল করে রাখা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনকে দিয়ে ‘তিস্তা নদী মহা ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্বাসন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করার। খবর: ডিফেন্স রিসার্চ

শুধু এখানেই শেষ নয়। এর অর্থায়নের জন্য চীনের কাছে $৯৮৩.২৭মিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ!

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তার দুই পাশে প্রতি বছর বন্যা হচ্ছে যার কারনে নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে পানির তীব্র সঙ্কটে কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

৩শত ১৫কিলোমিটারের ভেতর ১শত ১৩কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তিস্তার উজানে ভারতের সিকিমে তিনটির বেশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে দুটি সেচ প্রকল্প রয়েছে এই নদীর পানি সরিয়ে। উজানে ভারতের বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না।

 

বিগত ৮বছর যাবত পশ্চিমবঙ্গের মূখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তীব্র বিরোধীতায় আটকে আছে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি।

বাংলাদেশ চীনের অর্থায়নে এবং সহায়তায় যেই প্রকল্প নিচ্ছে এতে বন্যাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে সেই সাথে শীত মৌসুমে পানির অভাব আর থাকবে না।

 

কি কি পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ:-

১. তিস্তা নদীর দুই পাড় মিলিয়ে ২শত ২০কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট উঁচু গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

২. বাঁধের দুই পাশে থাকবে প্রশস্ত রিভার ড্রাইভ রোড।

৩. নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হবে হোটেল, রেষ্টুরেন্ট।

৪. নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়ে প্রশস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নদী গভীর করে খনন করা হবে।

৫. আর নদীর প্রশস্ততা এখন কোথাও ৮কিলোমিটার কোথাও ১২ কিলোমিটার। শুস্কমৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে দেখা দেয় মরুভূমির মত। তাই এটাকে কমিয়ে ২কিলোমিটার করা হবে।

৬. নদী থেকে প্রায় ৮শত ৮০বর্গকিলোমিটার জমি উদ্ধার হবে। (গড় ১০কিলোমিটার প্রশস্ততা ধরা হয়েছে। তার থেকে ২কিলোমিটার নদী রেখে ৮কিলোমিটার উদ্ধারকৃত জমি হিসাবে ১শত ১০কিলোমিটার নদীতে ৮শত ৮০কিলোমিটার এর মত হয়)

৭. উদ্ধারকৃত জমিতে ১শত ৫০মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে।

৮. উদ্ধারকৃত নদী পাড়ে থাকবে ইকোনমি জোন।

৯. নদী খনন করে গভীরতা বাড়িয়ে চালু করা হবে নৌ রুট।

১০. নতুন জমিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য আবাসিক এলাকা তৈরি হবে।

১১. উদ্ধারকৃত জমি ভূমিহীনদের মাঝে কৃষি কাজের জন্য বিতরণ করা হবে।

১২. ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮হাজার কোটি টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone