শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৫খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিকসহ ৮৭জনের নামে চাঁদাবাজি ও চুরি মামলা লালমনিরহাট বিজিবি কর্তৃক ১৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামালসহ ২জন আটক লালমনিরহাটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের শিবেরকুটি গ্রামের হাজরা বেওয়া-এঁর ইন্তেকাল মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা লালমনিরহাটের মাকসুদার লালমনিরহাটের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা লালমনিরহাটে সুরঙ্গ খুড়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা, তদন্ত কমিটি গঠন লালমনিরহাটের প্রেসক্লাব পাটগ্রামের সাধারণ সম্পাদককে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে
মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা লালমনিরহাটের মাকসুদার

মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা লালমনিরহাটের মাকসুদার

লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মাকসুদা আল বারী মিম দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ পেলেও লালমনিরহাটের মেধাবী এই শিক্ষার্থীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে দারিদ্র্যতা। তবে অর্থাভাবে ভর্তি ও পড়াশোনার সার্বিক খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে তাঁর পরিবারটির।

 

বাবা কখনও রাজমিস্ত্রী কখনওবা কৃষিকাজ করে সংসার চালান। মেয়ের মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ বহন ও পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব দরিদ্র এই পরিবারটির পক্ষে।

 

অর্থাভাবে মাকসুদা আল বারী মিমের ভর্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ দুশ্চিন্তার কারণ।

 

মাকসুদা আল বারী মিম লালমনিরহাট জেলা সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের ২নং ফুলগাছ গ্রামের মিজানুর রহমান ও আরিফা আক্তার দম্পতির বড় মেয়ে। ৩বোনের মধ্যে মাকসুদা আল বারী মিম প্রথম।

 

মাকসুদা আল বারী মিম ২০২২ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে বেগম কামরুন নেছা ডিগ্রী কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ২০২৪ সালে উক্ত কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন মাকসুদা আল বারী মিম।

 

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩হাজার ৩শত ১১তম স্থান অর্জন করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

 

পড়ালেখার প্রতি মেয়ের প্রচণ্ড আগ্রহের কথা জানিয়ে বাবা মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিতে পারেন না। ৩বোনের মধ্যে মাকসুদা ও আরেক মেয়ে টিউশনি করে সবার পড়ার খরচ জোগাড় করেন। এখন মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন মাকসুদা। তাঁকে কীভাবে সেখানে ভর্তি করাবেন ও পড়ার খরচ দেবেন, এসব চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারছেন না।

 

মাকসুদা আল বারী মিমকে নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী গর্ববোধ করলেও তাদের মাঝে বিরাজ করে অনিশ্চয়তার ছায়া। মাকসুদা আল বারী মিম শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন চিন্তায় পড়ে পুরো পরিবার।

 

এ অবস্থায় মেধাবী শিক্ষার্থী মাকসুদা আল বারী মিমের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone