লালমনিরহাট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব লিপিকা দত্ত এর দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে লালমনিরহাট সদরের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, নুর মোহাম্মদ মন্ডল, খাইরুল আলম প্রামাণিক প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট সদরের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বক্তব্যে বলেন, যে লিপিকা দত্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে ৯বছর যাবত বিশেষ দলের প্রভাব বিস্তার করে দলীয় ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারীতা করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি বিভিন্ন কার্যকলাপ ও দুর্নীতি করে শিক্ষকদের হয়রানি করে আসছেন।
পরে পরে মানববন্ধন শেষে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব লিপিকা দত্ত এর দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রসংগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিক্ষক সমাজের পক্ষে বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলম, খুনিয়াগাছ সিডিউলকাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন সাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকেরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, জনাব, আসসালামু আলাইকুম। লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকে আপনি জেলার সার্বিক উন্নয়নে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন সে জন্য সদর উপজেলার শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জনাব লিপিকা দত্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দীর্ঘ ৯বছর যাবত কর্মরত থেকে বিশেষ দলের প্রভাব বিস্তার করে দলীয় ছত্র ছাড়ায় বিভিন্ন দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতা করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি বিভিন্ন কার্যকলাপ ও দূর্নীতি করে শিক্ষকদের হয়রানি করে আসছেন। ১. এম.পি ও ভূক্তি, টাইম স্কেল, বি.এড স্কেল ও উচ্চতর স্কেলে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যক্তি বিশেষের কম্পিউটার হতে যোগসাজসে তথ্য প্রেরনে বাধ্য করে কমিশন নিয়ে আর্থিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানী করছেন। ২. প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অযোগ্যদের কৌশলে নির্বাচিত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ৩. শিক্ষক তদন্ত প্রতিবেদন ও কমিটি গঠনে, বিশেষ দলের হয়ে কাজ করে কমিটি ও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে শিক্ষদের হয়রানি করছেন। ৪. বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রজেক্টর ভাড়া না করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করে ছয়া বিল ভাউচার করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ৫. তিনি যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে নামে-বেনামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ভাউচার বানিজ্য করে আসছেন। ৬. তিনি দলীয় বিবেচনায় ব্যক্তি বিশেষের সাথে বিভিন্ন অনিয়ম এর কাজে সহযোগিতা করেন। শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে কর্কশ ভাষায় সব সময় কথা বলেন এবং রুঢ় আচরণ করেন। ৭. প্রায় মিটিং এ নামাজের সময় হলে নামাজ পরে পড়লেও চলবে নামাজের কোন ক্ষতি হবে না, আগে মিটিং শেষ করেন। বলে মন্তব্য করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। ৮. জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি পক্ষপাতিত্ব করে যোগ্যদের বঞ্চিত করেন। এমন কি কেউ শ্রেণী শিক্ষক না হয়েও তাকে শ্রেষ্ট শ্রেণী শিক্ষকের পুরস্কার দেওয়া হয়। আশা করি, উপরোক্ত বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।