লালমনিরহাটে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হচ্ছে ব্রিধান-৯২ ধানের বীজ। এ সমলয় পদ্ধতিতে ২০ থেকে ২৫দিনের মধ্যে চারা মাঠে লাগানোর উপযোগী হবে।
সমলয় পদ্ধতিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সারের ব্যবহারে খরচ কমে যাবে। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজতলা করায় ধানের চারা উত্তোলন, রোপণ, ফসল মাড়াই ও সবই একযোগে করা যাবে।
উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৯২ জাতের ধানের বীজ ব্যবহার করায় ১৪০ থেকে ১৪৫দিনের মধ্যে ফসল তোলা সম্ভব। ধান চাষে কৃষকদের শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয় রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামে সমলয় চাষ পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামে সমলয় চাষ পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা তৈরি করতে দেখা গেছে। এ সময় সাকোয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল আমিন সরকার এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির সময় কৃষকদের সাথে তদারকিতে করছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাটের সাকোয়া ব্লকের কুলাঘাট-টিকটিকি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সাকোয়া গ্রামের কৃষক পরেশ চন্দ্র রায় কার্জী, শাহজাহান আলী ও আব্দুল আজিজ এর ৬০শতাংশ জমিতে ব্রিধান-৯২ ধানের বীজ সমলয় চাষ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করেছে।
জানা যায়, এ চাষ পদ্ধতির আওতায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামকে বেছে নেয়া হয়েছে। উক্ত এলাকার কৃষকদের ৫০হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটের সাকোয়াতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। বীজ, সার, পানি, কীট ও বালাইনাশকসহ সব খরচ দিবে কৃষি বিভাগ। পরবর্তীতে কৃষি বিভাগের ব্রিধান-৯২ এর চারা রিপার মেশিন দিয়ে লাগানো হবে।