শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে সাংবাদিকের উপর হামলাকারী মাইদুল গ্রেফতার লালমনিরহাটের কৃষকেরা আগাম জাতের আলু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন লালমনিরহাটে বিশ্ব শান্তি কল্পে ১৬ প্রহর ব্যাপী অখন্ড শ্রীশ্রী হরিনাম সংকীর্তন ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৪র্থ উপজেলা স্কাউট সমাবেশ, মহাতাঁবু জলতা ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সরকারের নতজানু স্বভাবের কারণে ভারত শুধু নিয়েছে, বাংলাদেশকে কিছুই দেয়নি-লালমনিরহাটে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম লালমনিরহাটে ইটভাটায় যাচ্ছে ফসলি জমির মাটি! লালমনিরহাটের সাকোয়া ব্লকে সমলয় পদ্ধতিতে ব্রিধান-৯২ ধানের বীজতলা তৈরি হচ্ছে! লালমনিরহাটের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও জনসংযোগ মেলার শুভ উদ্বোধন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন খেজুর রসের কদর বাড়ছে! লালমনিরহাটে বিজয় দিবস রোলবল, স্পিড স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং প্রতিযোগিতা-২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে লেপ-তোশক-জাজিম কারীগরদের ব্যস্ততা

লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে লেপ-তোশক-জাজিম কারীগরদের ব্যস্ততা

লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে লেপ, তোশক, জাজিমসহ কম্বলের কদর। ফলে এসব সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারীগররা।

 

সরেজমিনে লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা হরেক রকমের তুলা দিয়ে ছোট বড় লেপ বা তোশক তৈরি করার।

বর্তমানে কারীগরদের ব্যস্ততা সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। দোকানীরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারীগররা তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোশক-জাজিম। লালমনিরহাট জেলার শহরের লেপ-তোশক তৈরির ১৪ থেকে ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মযজ্ঞ চলছে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। বাজারে সব রকমের জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি গজ লেপ তৈরির কাপড়ের দাম ৫০-৬০টাকা, তোশকের প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৪৫-৫০টাকা এবং প্রতি গজ জাজিম তৈরির কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১২০-১৫০টাকা করে। প্রকারভেদে গার্মেন্টস তুলা ৫০ থেকে ১০০টাকা, ফোম তুলা ২০০টাকা, শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৫০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জুটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫-৪০টাকা করে। এ বছরের প্রায় সব ধরনের তুলার কেজিতে ২০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এ বছর এক পিস রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ২০০০টাকার মধ্যে, তোশক বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৭০০টাকার মধ্যে। এছাড়া জাজিম বিক্রি হচ্ছে ২৫০০টাকা থেকে ৪০০০টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বালিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০টাকায়।

 

লালমনিরহাটের বড়বাড়ী বাজারে লেপ-তোশকের কারীগর শরিফুল ইসলাম (২২) বলেন, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ ও বাড়ছে। এখন রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেও মহাজনের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। এবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি।

 

কারীগর মাসুদ (৩৫) বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের আগে ব্যস্ততা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেপ-তোশক তৈরির কাজ চলে আমাদের। একটি লেপ তৈরি করলে আকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ২৫০টাকা এবং তোশক তৈরি করতে পারলে প্রতিজন ১৫০-৩০০টাকা মজুরি পাই।

 

ক্রেতা আকবর (৫৪) বলেন, লেপের জন্য দোকানে গিয়ে অর্ডার দিচ্ছি ২টি লেপের। এতে মোট খরচ পড়েছে চার হাজার ৪০০টাকা। রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ে। কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণ হয় না। এ কারণে অল্প টাকা দিয়ে লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

 

প্রবীণ কারীগর আমজাদ হোসেন (৬০) বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের বসে থাকতে হয়। শীতের তিন মাস সিজন, এ সময়ে ব্যস্ততা বেশি থাকে। এবারে আগে ভাগেই মৌসুম চলে এসেছে। লেপ-তোশক তৈরির কাজের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো ডেলিভারি দিতে হচ্ছে। একেকজন কারীগর প্রতিদিন গড়ে ৪-৫টি করে লেপ বানাতে পারে। এতে ৫০০-৬৯৯টাকা আয় হয়। বর্তমানে এ আয় দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone