শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি! লালমনিরহাটে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের মোগলহাট সড়ক পুর্ণ নির্মাণ কাজে গতিহীন; সাধারণ মানুষের ভোগান্তি!
লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!

লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি!

লালমনিরহাট জেলা শহরের লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রিক্সা স্ট্যান্ড চত্ত্বরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে নির্মাণ করা হয়নি কোন স্মৃতিচিহ্ন কিংবা স্থানটিকে চিহ্নিত করে সেখানে দেয়া হয়নি কোন সাইন বোড। নতুন প্রজন্ম জানেনা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহুর্তে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের রিক্সা স্টান্ডে কয়েক’শত নিরীহ বাঙ্গালীকে জড়ো করে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়েছিলো। এই চত্ত্বরে মহান শহীদদের রক্তের বন্যা বয়েছিল সেদিন।

 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সবে মাত্র প্রস্তুতি পর্ব তখন চলছিলো। মুক্তিকামী মানুষ তখনো পুরোপুরি সংগঠিত হতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে শুধু প্রতিরোধের প্রস্তুতি চলছিলো। ঠিক এমন সময়ে অবাঙ্গালী কর্তৃক লালমনিরহাট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৩শত নিরীহ মানুষকে ধরে এনে উক্ত স্থানে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিভিষীকাময় এই ঘটনার পর গোটা এলাকার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর কেটে গেছে ৫৩টি বছর। কিন্তু নির্মম পরিহাস এই যে মহান স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গকারী গুটি কয়েক ভাগ্যবানের নাম ছাড়া অদ্যাবধি প্রকৃত তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি এমনকি লালমনিরহাট জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা এবং এই স্থানটিকে চিহ্নিত পর্যন্ত করা হয়নি। নতুন প্রজন্মের তরুণেরা লালমনিরহাট রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন ঘেরা দেখতে চায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আশুদৃষ্টি কামনা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone