মাত্র কয়েক বছর আগেও লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রামে আখ চাষ হতো কয়েকশত হেক্টর জমিতে। আর এখন চাষ হয় মাত্র কয়েক হেক্টর জমিতে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় ও বিক্রির সময় হয়রানির কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন আখ চাষীরা।
এছাড়া মিলের নির্ধারিত দামের চেয়ে গুড় তৈরি করলেও বেশি লাভ হয় বলে জানান আখ চাষীরা।
আখ চাষের সাথে জাড়িতরা বলছেন, চিনিকলে আখ বিক্রি করতে নানা হয়রানির স্বীকার হতে হয়। পাশাপাশি আখ চাষের এক মৌসুমে অন্য ফসল তিনবার আবাদ করা যায় বলেও জানান আখ চাষীরা।
এছাড়া চিনিকলের তুলনায় গুড় তৈরি করে বিক্রি করলেও বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দাবি আখ শ্রমিকদের।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আখ চাষে আগ্রহ বাড়াতে চাষিদের কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
তবে আখের দাম পুনঃনির্ধারণ না করলে আখ চাষীরা আর আগ্রহী হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার আখ চাষীরা ইতিপূর্বে দিন দিন আখ চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। এ থেকে উত্তরণের উপায় কি তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাবতে হবে।