শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা

সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন

:: হেলাল হোসেন কবির :: শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এর মধ্যে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে রবি শস্য ফলানোর জন্য কৃষকরা জমি তৈরি করেও তাদের মনে সার নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে।

 

লালমনিরহাটের বাফার গোডাউন থেকে সার তোলার আগে সিন্ডিকেট করেন সার ডিলাররা। এই এলাকায় আলু, তামাক, ফুলকপি, বাধাকপি, সরিষা, ভূট্টা, গম, মুলা, বেগুন, শসা, গাজর, শাক ইত্যাদি ফসলকে টার্গেট করে সার ডিলাররা সিন্ডিকেট হাতবদল করে হাতিয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

 

মাঠ ঘুরে জানা যায়, ডিআইবি সরকারি দাম ১০৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১০৮০ টাকা, ডিআইবি (বাংলা) সরকারি দাম ১০৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৬০০ টাকা, টিএসপি (মরক্কো) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৪৮০ টাকা, টিএসপি (পতেঙ্গা) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ২২০০ টাকা, টিএসপি (তিউনিসিয়া) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৮০০ টাকা, এমওপি সরকারি দাম ১০০০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১১৫০ টাকা, ইউরিয়া (বল) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৩৮০ টাকা, ইউরিয়া (ক্যাপ) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৪০০ টাকা।

 

কৃষকদের কাছে সারের বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত টাকা নিলেও তাদের কাছে রশিদ দেয়া হয় সরকারি দামের। নিরুপায় হয়ে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসারগণ নামে মাত্র দেখাশুনা করে তারাও ইউনিয়ন পর্যায়ের সার ডিলারদের সাথে সিন্ডিকেটে জড়িয়ে যান।

 

বিএডিসির কতিপয় কর্মকর্তারাও যোগসাজসে কারণে এই সিন্ডিকেট এর সঙ্গে রয়েছে। গুদাম রক্ষকদের সাথে দফা-রফা করে খোলা আকাশের নিচে থাকা নষ্ট হওয়া সার পাঠিয়ে দেয়া হয় গুদামের বাহিরে, খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় সার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

 

এ অবস্থায় সার আমদানীতে দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত বিএডিসির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে নেই সার সিন্ডিকেটের কোন নজরদারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone