অতি স্বল্প খরচে ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মিষ্টি আলুর চাষ।
বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা মিষ্টি আলু চাষ করেছে। উৎপাদিত আলুর বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আলুর চাষাবাদ।
কৃষকেরা জানায়, পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে লাভবান হওয়ায় তাদের ধারণা পাল্টে যায় এবং মিষ্টি আলু চাষে তারা আগ্রহী হয়ে উঠেন। বছরের একটি মাত্র ফসল মিষ্টি আলু চাষ করে অনেকই লাভবান হচ্ছেন।
কুলাঘাট ইউনিয়নের মিষ্টি আলু চাষি জুরান আলী, বেলাল হোসেন, আলম জানান, প্রতি বিঘা মিষ্টি আলু চাষে তাদের খরচ পরে ৫ থেকে ৬হাজার টাকা। উৎপাদিত আলু বিক্রি করা যায় ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা। ফলে খরচ বাদে প্রতি বিঘায় তাদের মুনাফা দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি আলু খেতে অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মিষ্টি আলুর ব্যবসায়ী শুকুর উদ্দিন, মহাব্বর জানান, তারা এখানকার মিষ্টি আলুর জমি এবং জমি থেকে উঠানো আলু পাইকারি দরে কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। এই এলাকার উৎপাদিত মিষ্টি আলুর দেশব্যাপী চাহিদা থাকায় তারাও বেশ লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে এখানকার কৃষকরা মিষ্টি আলু চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছরেই বাড়ছে আবাদের পরিমাণ।