অনুকূল আবহাওয়ায় মৌসুম শুরুর আগেই লালমনিরহাট জেলায় ফুলকপির চাষ শুরু করেছে সবজি চাষিরা। ভালো দাম পেতে এখন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন, আবার কেউ সেচ দিচ্ছেন। অনেকে নতুন করে শীতকালীন সবজির চারা রোপণেও ব্যস্ত।
লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামের চাষী কমল কান্তি বর্মণ জানান, লালমনিরহাট জেলা হচ্ছে সবজি ভান্ডার। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে। এজন্য এখানকার চাষিগণ ফুলকপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
একই কথা জানালেন কোদালখাতা গ্রামের কৃষক দরবেশ আলী। এবার তিনি ৫৪শতাংশ জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। তিনি জানান, কোদালখাতা গ্রামের জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন।৫৪শতাংশ জমিতে এখন সার নিড়ানি দিয়েছেন। গ্রামে সাধারণত এই সময়ে কৃষি শ্রমিকদের কাজ থাকে না। আগাম কপি চাষ করায় কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থার হয়েছে। পাশাপাশি তিনিও লাভের আশা করছেন।
চাষি নুরজামাল হোসেন বলেন, ফুলকপি ৬০দিনের ফসল। চারা রোপণে ফলন পাওয়া পর্যন্ত জমি চাষ, সার, কীটনাশক, নিড়ানি, শ্রমিকসহ খরচ হবে অনেক টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে ছোট-বড় নদী প্রবাহিত। নদী এলাকায় ব্যাপক পলি জমি রয়েছে, যা সবজি চাষের উপযোগী।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার ফুলকপি চাষীরা ইতিপূর্বে ফুলকপি চারা রোপণ করেছেন।