শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
পারিবারিক মাফিয়াকরণে চলছে লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজ ফুলকপি চাষে ব্যস্ত লালমনিরহাটের চাষিরা লালমনিরহাটে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জলবায়ু জনিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান ৩ দিনের রিমান্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাটে চা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের লালমনিরহাটে সাড়ে ১১কেজি ওজনের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় কুখ্যাত মাদক সম্রাট নুর হাইসহ ৩জনের মৃত্যুদন্ড লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান গ্রেফতার
কাকিনার তাঁতের চাদরের কদর বাড়েছে লালমনিরহাটসহ সারাদেশে

কাকিনার তাঁতের চাদরের কদর বাড়েছে লালমনিরহাটসহ সারাদেশে

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট জুড়েই জেকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। শীতের এই সময়টাতেই অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে সবাই চাদর গায়ে জড়িয়ে নেন। আর এ অঞ্চলের মানুষের বড় ভরসার স্থলের নাম কাকিনার তৈরি তাঁতের চাদর।

 

জানা যায়, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে প্রায় মার্চ মাস পর্যন্ত অন্যতম শীতপ্রবণ লালমনিরহাট জেলায় স্থানীয়ভাবে তৈরি এই চাদরের জনপ্রিয়তা রয়েছে ব্যাপক হারে। ছিন্নমূল থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, এমনকি উচ্চবিত্তদের মধ্যেও অনেকের অন্যতম ভরসা কাকিনার তাঁতের চাদরের। তবে শুধু লালমনিরহাট জেলাই নয়, কাকিনার তাঁতের চাদরের কদর রয়েছে দেশজুড়েই খ্যাতি। শীতের সময়টাতে কাকিনা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের চাদর নেওয়ার ধুম পড়ে যায়।

 

আরও জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের তাঁতিপাড়ায় তৈরি হয় এ চাদর। বছরের অন্যান্য সময়ে তেমন ব্যস্ততা না থাকলেও শীতের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই চাদর তৈরিতে অবিরাম ব্যস্ততায় সময় কাটে এসব এলাকার তাঁতিদের।

 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পাশের গ্রাম তাঁতিপাড়া। গ্রামে প্রবেশের আগে কানে বাজে তাঁত মেশিনের খট-খট ধ্বনি। গ্রামের যত দূর ভিতরে যাওয়া যায়, প্রায় সব বাড়িতেই ছেলে-বুড়া সবাই ব্যস্ত তাঁত নিয়ে। এখন চলছে তাদের চাদর তৈরির ভরা মৌসুম।

 

তাঁতিরা জানান, সরকারিভাবে বা কোনো প্রতিষ্ঠান সুতা আর মজুরী দিলে বারো মাসই তারা চাদর, লুঙ্গি, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি বা সরবরাহ করতে পারতেন। তাই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এখন শীতের চাহিদা মেটাতে শুধু চাদর তৈরি করছেন তারা। এভাবে ৫টি মাস ভালো চললেও বছরের বাকি সময়টা বন্ধ থাকে এ তাঁত। এ সময়টা দুর্বিষহভাবে কাটে তাদের।

 

তাঁতিরা আরও জানান, প্রতিটি চাদরে তাদের খরচ পড়ে ১শত ৫০টাকার মতো, বিক্রি হয় ২শত টাকা থেকে ২শত ৫০টাকায়।

 

তাঁতিদের সূত্রে জানা যায়, কাকিনার তাঁতপল্লীর তৈরি চাদর জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় টাঙ্গাইল, ঢাকার বাবুরহাট, বরিশাল ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

 

কাকিনার তাঁতিদের দাবি, তাদের এ পেশা টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হোক। সরকারি সহায়তা পেলে সারা বছরই তারা চাদর, লুঙ্গি, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে বাজারজাত করতে পারতেন। এতে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণের চিন্তা থাকতো না। দূর হতো বাপ-দাদার পৈতিক পেশা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone