শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিনব্যাপী বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে কাব হলিডেতে “শেখ হাসিনার” সাক্ষরযুক্ত সনদ বিতরণ লালমনিরহাট জেলা সমিতি ঢাকা’র উন্নয়ন ও করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুলগাছ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার লালমনিরহাটের সাংবাদিকের পিতা মরহুম আফজাল হোসেনের কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোপা-আমন ধান ও সবজি ক্ষেত লালমনিরহাটে কোদালখাতা প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নানামূখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি

লালমনিরহাটে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুলগাছ

লালমনিরহাটের প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে এবং সরকারি, বে-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শোভাবর্ধন করেছে জবা ফুল। এরুপ চিত্র লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা জুড়ে।

 

জবা একটি অতি সুন্দর ও খুবই আকর্ষণীয় ফুল গাছ। এ জবা ফুল গোলাপি, সাদা, লাল, হলুদসহ নানা রং ও বর্ণের হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায় জবা ফুলের। সাধারণত শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে কম আর বেশি প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা বাড়ির ছাদে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জবা ফুলগাছ লাগানো হয়ে থাকে। মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম এই জবা ফুল। জব ফুলের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। ১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস-এর নাম দেন “Hibiscus rosa-sinensis”। লাতিন শব্দে “rosa-sinensis”-এর অর্থ “চীন দেশের গোলাপ”। বাংলায় নাম রক্তজবা, জবা, জবা কুসুম বলা হয়ে থাকে।

 

জবা ফুলের বংশবিস্তার হয়ে থাকে শাখা কলমের মাধ্যমে। প্রায় সারা বছরই ফোটে এ জবা ফুল। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে জবা ফুল থাকে। গাছের উচ্চতা প্রায় ৮ থেকে ১৬ ফুট। পাতাগুলো চকচকে সবুজ ও ফুলগুলো উজ্জ্বল এবং পাঁচটি পাপড়িযুক্ত। ফুলগুলোর ব্যাস গড়ে ৪ ইঞ্চি এবং গ্রীষ্ম ও শরৎকালে ফোটে। জবা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই এর নিচের তাপমাত্রার অঞ্চলে জবাগাছ কাচের ঘরে জন্মে। ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জবা ফুল। বিভিন্ন রোগের ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চোখ ওঠা দূর করতে জবাপাতার প্রলেপ দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগী সুস্থ্য হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবাপাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে উপকার হয়।

 

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের ছাত্র রিজভী আহমেদ সৌরভ বলেন, জবা ফুল গাছ আমাদের বাড়ির উঠানেও রয়েছে। জবা ফুল ফুটলে সবার দৃষ্টি কারে। সেই সাথে বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone