আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: সেই আলোচিত মামলার আসামীরা অবশেষে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর জামিন পেলেন। অথচ মামলার পর প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ না গ্রহণ করার কারণে আসামীরা এতোদিন ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
অবশেষে আজ রবিবার ১৯ জুলাই দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আফাজ উদ্দিনের আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন প্রাপ্ত আসামীরা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের তিনদীঘি এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম গোলগোলা (৪৮), নিউ কলোনী এলাকার মৃত খালেক মৃধার ছেলে হানিফ মৃধা (৫০), একই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে ফরহাদ (২৭), মুসা (২৫) ও আওলাদ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম রিংকু (২৫)।
আসামীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে বিজ্ঞ আদালতের সামনে জামিন প্রার্থনা করে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাড. মোঃ মশিয়ার রহমান ও অ্যাড. মোঃ রকিবুল হাসান খান।
আসামীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. মোঃ মশিয়ার রহমান ও অ্যাড. মোঃ রকিবুল হাসান খান জামিন প্রার্থনা করে বিজ্ঞ আদালতের সামনে যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা আদালতকে বলেন, আসামীরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয়।
এজাহারে উল্লেখিত প্রধান আসামী রফিকুল ইসলাম ও দ্বিতীয় প্রধান আসামী হানিফ মৃধা ঘটনার দিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার ঠাকুরের মাল্লি এলাকায় মাছ শিকার করতে গেলে স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। হানিফ মৃধা একজন ভালো মানুষ এবং তিনি লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনও করেন।এজন্য আসামীদের জামিন পাওয়ার অধিকার আছে, বিজ্ঞ আদালত জামিন দেবেন আসামীরাও প্রত্যাশা।
অপরদিকে কোর্ট সিএসআই মোঃ মুসা আলম বিজ্ঞ আদালতের কাছে আসামীদের জামিন বাতিল চেয়ে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শোনার পর আদালতে পুলিশি প্রতিবেদন (চার্জশীট) উপস্থাপন পর্যন্ত আসামীদের জামিন মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত।
উল্লেখ্য, আসামীরা বিভিন্নভাবে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। করোনা কালেও ঠাকুরের মাল্লি এলাকায় জমজমাট মাদক বিক্রি করছিল চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এলাকাবাসীসহ হেলাল হোসেন কবির মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে। এরপর ১১ এপ্রিল জেলা শহরের গোশালা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করার সময় হেলালের উপর অতর্কিত হামলা করে জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় আসামীরা।
হেলাল হোসেন কবির লালমনিরহাট জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি বাদি হয়ে গত ১৯ এপ্রিল রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় ৫জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮/১০জনের নামে মামলা করেন। যার মামলা নং-২১/২২৫।
মামলার বাদী সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বলেন, আমি আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। যদিও আসামীদের অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামী ধার্য্য তারিখে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জেল হেফাজতে নেবেন।