কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালন করতে গেলে গো-খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু এবারে বন্যায় গো-খাদ্য (পোয়াল) পচে যাওয়ায় এ কৃত্রিম সংকট। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সামনে আগাম জাতের ধান কাটা হলে এ সংকট থাকবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস লাগালেও ক্ষুদ্র খামারিরা শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। এ বছর বন্যা আর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি এস এম হাসান আলী জানান, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটা গরুর একদিনের খড় কিনতে ২০/৩০ টাকা লাগে।
খড় ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শুকনো খড় পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৩টাকা ক্রয় করে ৪ থেকে ৫টাকা বিক্রয় করে থাকি।
ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম বেড়েছে কয়েকগুন। তাই এ সময় শুকনো খড়ই ক্ষুদ্র খামারিদের একমাত্র ভরসা। তবে, বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।