লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৮৮মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ২৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮দশমিক ৮৮মিটার। যা (বিপদসীমা ২৮দশমিক ৭৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ১৩সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুন) ভোর ৬টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপরে থাকলেও সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই আবারও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার বন্যার কবলে পড়েছেন।
পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় এটি স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তবে বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা। তবে কাউনিয়া পয়েন্ট বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্ট পানির প্রবাহ বেড়েছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৪৪মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ৬৫সেন্টিমিটার নিচে।
তবে, ধরলা নদীর অববাহিকায় মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়নের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, লালমনিরহাটে বৃষ্টিপাত ১১৮মিলিমিটার।