শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
ধরলা নদীর ভাঙনে ছোট হচ্ছে লালমনিরহাটর মোগলহাট ইউনিয়ন!

ধরলা নদীর ভাঙনে ছোট হচ্ছে লালমনিরহাটর মোগলহাট ইউনিয়ন!

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন সংলগ্ন ধরলা নদীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই ছোট হচ্ছে ইউনিয়নটি। বিগত কয়েক বছরে ওই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলায় বিলীন হয়েছে। প্রতিদিনই ধরলা গ্রাস করছে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি। ভাঙন কবলিত অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক দশকে এই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলা নদীতে হারিয়ে গেছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৭হাজার ১শত ৮৮জন। কিন্তু ভোটদানে উপস্থিতির সংখ্যা আনুপাতিক হারে অর্ধেক। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি মৌজার মধ্যে ৬টি (কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া) নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অর্ধেক ভোটার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এখানে বর্ষা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও ভাঙন ঠেকানো যায় না। আর শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরবতা। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের কাছে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা চায় মোগলহাট ইউনিয়নবাসী।

সরেজমিন মোগলহাট ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও নদী তীরের বাড়িগুলো আছে। কখন ধসে যায় তা দেখতে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে বাড়ির কর্তারা। ওয়াবদা বাঁধ ও রেলওয়ে লাইনের ধারে হাজার হাজার মানুষ মাথা গোজার ঠাই করতে বাড়ী করেছে।

ধরলা নদীর ভাঙনের স্বীকার মানুষগুলো বলেন, হামরা এ্যালা নিঃস্ব হয়া গেছি। হামরা পথের ভিখারী হয়া গেছি। হামারগুলার মাথা গোজার ঠাই নেই। আর সেই সাথে রাত কাটে নির্ঘুম। ঘরের উঠানে চলে এসেছে নদী। যে কোনো মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আতঙ্ক আর উদ্বেগে সময় কাটছে পরিবারের লোকজনের।

প্রসঙ্গত, ধরলা নদীর ভাঙনে মোগলহাট ইউনিয়ন ছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলার আরও ২টি (কুলাঘাট ও বড়বাড়ী) ইউনিয়নে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone