লালমনিরহাটে ইন্টারনেটের প্রতি স্কুল, মাদরাসা, কলেজের শিক্ষার্থীদের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি তাদেরকে শুধু পড়ার টেবিল থেকেই দূরে রাখেনি বরং কথিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তেলাসহ অনৈতিক নানা কাজের দিকেও ধাবিত করছে। যে কারণে এই লালমনিরহাট জেলা জুড়ে বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহের ঘটনাও বেড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটে মূলত অসচেতনতা এবং অসচ্ছলতার কারণে। কিন্তু এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে অধিকাংশ বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটছে কথিত প্রেমজনিত কারণে। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈতিক ওই সম্পর্ক গড়ে উঠছে স্মার্টফোনের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করেই।
লালমনিরহাট জেলার স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থীরা ইন্টানেটের প্রতি কতটা আসক্ত হয়ে পড়েছে সেটা লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সড়কের অভ্যন্তরে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ড্রেস পরা শিক্ষার্থীদের অবাধ যাতায়াত দেখে সহজেই অনুমান করা যায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায় তাদের সরব উপস্থিতি। সেই সঙ্গে রাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অনেক ছাত্রকে স্মার্টফোন নিয়ে আড্ডা দেয়া দেখা যায়। কোচিংয়ে যাবার নামে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কোন একজন যদি আগে বেড়িয়ে পড়ে তাহলে সে তার সঙ্গীর জন্য অপেক্ষার সময়গুলো স্মার্টফোনেই কাটিয়ে দেয়। আর যারা এক সঙ্গে বিভিন্ন পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশ করে তারা তো রীতিমত খানিকটা আড়ালে কোন গাছ তলায়, বেঞ্চ নয়তো ঘাসের ওপর ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে তাদের ঘুরতে-ফিরতে দেখা যায়। অনেকে শহর এবং শহরতলীর চিহ্নিত কিছু রেস্টুরেন্ট (যেখানে খেতে যাওয়া মানুষের উপস্থিতি বরারবই কম থাকে) এবং আবাসিক কয়েকটি হোটেলেও ভিড় করছে। কেউ কেউ জুটি বেঁধে শেখ রাসেল শিশু পার্ক, লালমনিরহাট মিলিটারি ফার্ম বিনোদন কেন্দ্র, তিস্তা ব্যারাজ, তিস্তা সড়ক সেতু, দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু, শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে চলে যাচ্ছে। ওদিকে বাবা-মা হয়তো ভাবছেন তার ছেলে কিংবা মেয়ে কোচিং শেষে স্কুল, মাদরাসা, কলেজে মনোযোগ দিয়ে স্যারের লেকচার শুনছেন।