শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের
লালমনিরহাটে ফুটেছে নাগলিঙ্গম ফুল

লালমনিরহাটে ফুটেছে নাগলিঙ্গম ফুল

লালমনিরহাটের অ্যাডভোকেট ময়জুল ইসলাম ময়েজ পেশায় একজন আইনজীবী হলেও তিনি বৃক্ষপ্রেমি মানুষ বটে। তবে প্রথাগত গাছপালা নয়, একটু ব্যতিক্রমী চাষাবাদে আগ্রহী তিনি।

 

এই কারণেই চাষাবাদের জন্য বেছে নিয়েছেন নানা প্রজাতির বৃক্ষের বাগান। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের হরিদাস টেপারহাট গ্রামে শখের বশে গড়ে তুলেছেন বাগান। আর সেই বাগানবাড়ীতে নাগলিঙ্গম গাছে ফুল ফুটেছে। যেন অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি সুগন্ধ ছড়াচ্ছে এ ফুলগুলো।

 

তবে নাগলিঙ্গম গাছের দেখা খুব একটা বেশি মেলে না। আমাদের এ দেশে মাত্র অর্ধ শতাধিক এই গাছ রয়েছে। প্রতি বছর মার্চ হতে জুলাই মাসে নাগলিঙ্গম গাছে ফুল ফোটে।

 

এ গাছের কাণ্ড থেকে শিকড়ের মতো বের হয়। সেই শিকড়েই ফুল ফোটে। একটি শিকড়ে অনেকগুলো ফুল থাকে। যেন ফুলে ফুলে গাছের কাণ্ড আচ্ছাদিত হয়ে যায়।

 

এ ফুলের রং লাল, গোলাপী আর হলুদ মিশ্রিত। আকারে বড়। পাপড়ী ৬টি এবং তুলনামূলক ভারি। ফুলের মধ্য ভাগে রয়েছে গর্ভাশয়। গর্ভাশয়টি সাপের ফণার মতো দেখতে। এর জন্যই হয়তোবা ফুলটির নাম “নাগলিঙ্গম”।

 

ফুল শুকিয়ে গেলে তাতে গোলাকৃতির বাদামি-খয়েরি বর্ণের ফল হয়। এই ফল হাতির পেটের রোগের জন্য উপকারী। এর অন্য নাম হাতির জোলাপ।

 

লালমনিরহাটের অ্যাডভোকেট ময়জুল ইসলাম ময়েজ-এঁর বাগানের নাগলিঙ্গম গাছটি বিশাল আকৃতির। অন্যান্য গাছের চেয়ে উঁচু। গাছটি তিনি তাঁর বাগানে রোপন করেছিলেন।

 

অনেকে এ বাগানবাড়ী পরিদর্শনে আসেন। তারা নাগলিঙ্গম গাছ ও এর ফুলে আকৃষ্ট হন। এবারও ফুল ফুটেছে। অনেকেই নাগলিঙ্গম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চলে আসেন এ বাগানে।

 

জানা যায়, সবুজ পাতার বৃহদাকৃতির গাছ ‘নাগলিঙ্গম’-এর আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চল। এর ইংরেজি নাম ‘cannonball tree’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis। তবে কেউ কেউ মনে করেন ভারতেই এর উৎপত্তি এবং বিস্তার। বাংলাদেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু নাগলিঙ্গম গাছ আছে। তবে তার সংখ্যা খুবই নগণ্য। “নাগলিঙ্গম” প্রায় ৩০-৩৫ মিটার উচু হতে পারে। লম্বাটে ধাঁচের সবুজ পাতাগুলো গুচ্ছ আকারে থাকে। সাধারণত অন্যান্য প্রজাতির গাছের শাখা বা পাতার পাশ থেকে ফুল-ফল জন্মায়। কিন্তু নাগলিঙ্গমের ফুল ও ফল জন্ম নেয় সরাসরি মূল গাছের কাণ্ড থেকে। ফুলের পাঁপড়ির রং লালচে গোলাপী ও কেন্দ্র হালকা গোলাপী। নাগলিঙ্গমের সুবাসের বেশ খ্যাতি রয়েছে। ফুলের ঘ্রাণ অনেকটা শাপলা, পদ্ম ও গোলাপের সংমিশ্রণের মতো। তবে ফলে বেশ বাজে গন্ধ রয়েছে। ফুলের আকৃতি অনেকটা ফণাতোলা সাপের মতো দেখতে হওয়ায়, এর নামকরণ নাগলিঙ্গম হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।

 

বিরল প্রজাতির এ উদ্ভিদের রয়েছে বেশকিছু ঔষধি গুণও। এই গাছের বাকল, ফুল ও পাতার নির্যাস দিয়ে তৈরি করা যায় এন্টিসেপটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিবায়োটিক। ম্যালেরিয়া উপশমেও এর পাতা ব্যবহায় হয় দক্ষিণ আমেরিকাতে।

 

উল্লেখ্য যে, অ্যাডভোকেট ময়জুল ইসলাম ময়েজ এর বাগানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি সব ধরনের গাছ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone