লালমনিরহাট জেলার গাছে গাছে ধরেছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। কিছুদিন পরেই বাতাসে বইবে জাতীয় ফল পাকা কাঁঠালে মৌ মৌ গন্ধ। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও প্রোটিন রয়েছে। তাইতো জাতীয় এ ফলটি এ অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়।
জানা গেছে, কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। গ্রীস্ম মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ফল। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা এলাকার গাছে গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরছে। কাঁঠাল মাল্টিপারপাস উদ্ভিদ। কারণ ফল হিসেবে পাকা অবস্থায়, সবজি/ তরকারী হিসেবে কাঁচা অবস্থায় কাঁঠাল খুব সুস্বাদু খাবার। এছাড়া এ ফলটির অবশিষ্ঠাংশ পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা বিভিন্ন স্থানের অকৃষিজ পতিত জমি, পুকুরপাড়, কৃষি জমির সীমানা আইল, বাড়ির আশে-পাশে ও উঠানে কাঁঠাল গাছের চারা রোপণ করে থাকেন। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে কাঁঠালের ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় এবং বাজারে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেক চাষিরাই এখন ব্যাণিজ্যিক ভাবে কাঁঠালের চাষ শুরু করেছেন।
কাঁঠাল চাষি মোঃ হযরত আলী বলেন, আমার কয়েকটি কাঁঠাল গাছ আছে। ব্যাপক পরিমাণে কাঁঠাল ধরায় গতবারের চেয়ে বেশি ফলনের আশা করে ছিলাম।
ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি বলেন, কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এ ফলের সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মিশে আছে। গ্রাম-গঞ্জে কাঁঠাল পাকার মৌসুমে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে কাঁঠাল খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু রয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কাঁঠাল চাষের জন্য এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অনেক উপযোগী। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে পরিচর্যা করলে এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।