:: জাকি ফারুকী ::
“বীফইটার জিন শক্ত প্রজাতির,
অনভ্যস্ত শরীর দুপেগ ভালোই রসায়ন সৃষ্টি করে।”
একদিন বিকেলে ধরলায় বেড়াতে গেলাম, সবুজ কর্ক এর বোতলে অর্ধেক জল অর্ধেক সেই তরল ঢেলে,
রওনা দিলাম।
মনে আছে সেদিন কে ছিলো সাথে?
জানিনি এতো কোমল সন্ধ্যায় চাঁদ উকি দেবে আকাশে, সেদিন পূর্নিমা।
মাঝি- আমাদের দুজনের মাখামাখি আর পেপসি খাওয়া দেখে,
মজাই পায়।
দরদাম ছাড়া অলস বিকেলে মোটা দামের কাষ্টমার,
একটু তো আনন্দ করবেই।
কি ভাইজান, আসেন চিপস্ খান।
দরকার হলে, নৌকাভিড়ায় চা খেয়ে আসেন ঘাটপার থেকে।
তুমি তখন, চুক চুক করে খেতে খেতে অনভ্যস্ত শরীরে ভালই দিয়েছিলে।
কখন সন্ধ্যা নেমেছে, আকাশে ঝলমলে এক পূর্নিমা চাঁদ,
তুমি, আমার গায়ে হেলান দিয়ে, তন্দ্রালু নেশায় ভরপুর,
জলের মাঝে চাঁদের প্রতিবিম্ব কাঁপছে,
তুমিও কাঁপছো, তারপর সেই উচ্চারন,
“দেখো চাঁদ ডুবে গেছে জলে”-
এমন অন্তহীন শব্দ আমি কখনো শুনিনি,
চাঁদ ডুবে আছে জলে,
চাঁদ কাঁপে জলে, কি শীতল,
কি অবাক করা স্মৃতি,
তুমি কি ভুলে গেছো?
আমি ভুলি নাই,
ভোলা যায়?
আমার প্রস্তানের বহুবছর পর তুমিও তখনো বেঁচে,
একদিন ধরলায় চাঁদ দেখো, বাড়ীর পাশেই তো ধরলা নদী,
কি অপরূপ!
২২/১২/২৩
জেরাল্ডটন, অস্ট্রেলিয়া।