“মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঠাই নাই” স্লোগান নিয়ে লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ুয়া গ্রামের পাশা মিয়া শাহাজাহান গং-কর্তৃক হিন্দু নির্যাতন ও হুমকির প্রতিবাদে এবং সাম্পদ্রায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ৩টায় লালমনিরহাটের মিশন মোড় চত্ত্বরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোট লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মিত্রবরুণ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোট লালমনিরহাট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দসহ ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মিত্রবরুণ রায় বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব ও ছাত্র মহাজোট লালমনিরহাট শাখার পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বড়ুয়া গ্রামের পাশা মিয়া ও শাহাজাহান আলী গং কর্তৃক বড়ুয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা/হুমকির প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন। উক্ত এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই মর্মে অভিযোগ আনয়ন করে আসছেন যে, বেশ কিছুদিন যাবত বড়ুয়া গ্রামের পাশা মিয়া ও শাহাজাহান আলী গং বড়ুয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে আসছেন। সে প্রেক্ষিতে বিগত ০৮/০৩/২০২৪ খ্রি. তারিখ বড়ুয়া গ্রামে শিবরাত্রি ব্রত উদযাপনের রাত হতে অদ্যাবধি বড়ুয়া গ্রামের পাশা মিয়া ও শাহাজাহান আলী গং রাতের আধারে লাঠি সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ির আশেপাশে অবস্থান নিচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি (বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, রাতের আধারে মেরে ফেলা) প্রদান করে আসছে। বিগত ০৯/০৩/২০২৪ খ্রি. তারিখ রাত আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় চকলেট বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশের সুষ্টি করে। পরবর্তীতে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সরজেমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাই। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও আশঙ্কা করছি যে, যে কোন সময় উক্ত এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্যাতন করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত দেখে আসছি যে, কারণে অকারণে সহিংস নির্যাতনের শিকার হন আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন ভূখন্ড লাভ করি। আমাদের প্রথমতম স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হবে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। তাই আজকে সময় এসেছে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ে নামতে হবে। আসুন আমরা শপথ গ্রহণ করি আর কোন সংখ্যালঘুকে আমরা এদেশের মাটিতে নির্যাতিত হতে দিব না।