লালমনিরহাটে ২ দিন ব্যাপী লোকসংগীত চর্চার মাধ্যমে শিশুদের আত্মশুদ্ধি ও জীবনবৃদ্ধির লক্ষ্যে লোকসংগীত উৎসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৭ ও ৮ মার্চ) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সরকারি আদিতমারী গিরিজা শংকর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মায়ের তরী এর আয়োজনে এ লোকসংগীত উৎসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
১ম দিবসে মায়ের তরী এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়েরা সেথের-এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উত্তর বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, আবৃত্তিশিল্পী শওকত আলী, বাউল শফি মণ্ডল, কবি ফেরদৌসী বেগম বিউটি। অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও লোকসংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
২য় দিবসে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী-এর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রংপুর অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) পংকজ চন্দ্র রায়, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রবিন খান, শিল্পী শওকত আলী ইমন, সংগীত শিল্পী রাকিবুজ্জামান আহমেদ, আদি রঙের তরীর সভাপতি সুবীর কুমার দাস। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত রায় বিদুর, কিন্ডার হিল্পস্ ওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক জেমস আশীষ দাস। এ সময় উপস্থিত থাকবেন উৎযাপন পর্ষদের আহবায়ক পিন্টু সাহা, প্রধান সমন্বয়ক ইউসুফ আলমগীর, সদস্য সচিব সুজন কুমার বেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে লোকসংস্কৃতি বিষয়ক সেমিনার, লোকসংগীত পরিবেশন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, লোকসংগীত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের সংস্কৃতি। লোকসংগীতের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ ইত্যাদি অনুভূতি প্রকাশ করে এবং জীবন সংগ্রামে উজ্জীবিত হয়। আবার লোকসংগীতের মাধ্যমেই জীব আত্মা সেই পরম আত্মার সন্ধান করে।