প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলাধীন কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের মোস্তাকিন (৩৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মোস্তাকিন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মতিয়ার রহমানের ৬ষ্ঠ পুত্র।
পাটগ্রাম থানায় দায়েরকৃত ভুক্তভোগী মেয়ের অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের মে মাসে মেয়েটি তার স্বামীকে তালাক দেয় পাশের বাড়ির মোস্তাকিনের প্রেমের প্রলোভনে পড়ে। বিয়ে করবে বলে বিচ্ছেদের পরবর্তী সময়ে মেয়েটির সাথে গভীর সম্পর্কের এক পর্যায়ে পাশের খালের ধারে দেখা করার কথা বলে জোর করে দৈহিক মিলন ঘটায় মোস্তাকিন। বিয়ে করবে বলে আজকাল করে টালবাহানা এবং আগে কাউকে বললে বিয়ে না করার হুমকি দিলে মেয়েটি তার পরিবারকে পুরো ঘটনা অবগত করে। এরইমধ্যে মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে আল্ট্রাসনোগ্রামে ধরা পড়ে অন্তঃসত্ত্বার চিত্র। পরিবার স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না পেয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটি গণমাধ্যমকে জানায়, আমার পেটে আজ মোস্তাকিনের (ধর্ষণ জনিত কারণে প্রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা) সন্তান। আমি সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই। মেয়ের পরিবারও এঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন। এদিকে এ ঘটনায় একটি কল রেকর্ডে শোনা যায়, মোস্তাকিন মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার কথা বলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রতি দেয়। শুধু তাই নয়, মোস্তাকিন এরইমধ্যে দেড় মাস আগেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। মোস্তাকিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া না গেলেও তার পিতা মতিয়ার রহমান জানান, মেয়ের সাথে আমার ছেলের কখনো দেখা বা যোগাযোগ হয়নি। তাদের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বলেও দাবি করেন। কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নীলুফা ইয়াসমিন কণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ মেয়ের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত নয় প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটির একাধিক সম্পর্কের বিষয়ে তথ্য থাকার কারণে অভিযোগের তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।