আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ওরা খুব বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানায় মামলা থাকার পরেও পুলিশের সাথে বসে চা পান করে! এমন গল্প আবার অন্যদেরকে বলে আসামীরা নিজেদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। লালমনিরহাট সদর থানা থেকে ৫০০মিটার দূরত্ব এলাকার মধ্যে বসবাস করে আসামীরা। তারপরেও সেই আলোচিত মাদক ব্যবসায়ীরা এখনও পুলিশের কাছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জানা যায়, লালমনিরহাট সদর থানার পাশেই মাদকের বড় একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের মধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের তিনদীঘি এলাকার মৃত্য আকবর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (গোলগোলা) (৪৮), নিউ কলোনী এলাকার মৃত্য খালেক মৃধা ছেলে হানিফ মৃধা (৫০), আবু সাঈদের ছেলে ফরহাদ (২৭), মুসা (২৫) ও আওলাদ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম রিংকু (২৫)। এই মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে মাদক ব্যবসা করে আসছে। পূর্বের ন্যায় করোনা কালেও ঠাকুরের মাল্লিতে জমজমাট মাদক বিক্রি করে আসছে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এলাকাবাসীসহ সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে। তারপর ১১ এপ্রিল জেলা শহরের গোশালা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করার সময় সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবিরের উপর হামলা এবং জোর পূর্বক ফাঁকা স্ট্রাম্পে স্বাক্ষর নেয় উক্ত ব্যবসায়ীরা। হেলাল হোসেন কবির সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। হেলাল হোসেন কবির বাদি হয়ে গত ১৯ এপ্রিল রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও অজ্ঞাত ৮/১০ জনের নামে মামলা করেন। মামলা নং-২১/২২৫। উপরে উল্লিখিত মাদক ব্যবসায়ীরা সবাই উক্ত মামলার আসামী।
আরও জানা যায়, মামলা হলেও আসামীরা এখনও ধরা পরেনি। এই নিয়ে চমর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। তারা বলেন, একজন সাংবাদিক মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অজ্ঞাত আসামিদের তো দূরের কথা নথিভ‚ক্ত আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি যা রহস্যজনক।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, এই ধরনের ঘটনা আমার জানা ছিলো না, তবে আসামীরা যেই হোকনা কেন ধরা হবে।