দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের ৩টি সংসদীয় আসনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। লালমনিরহাটের সব আসনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে স্বতন্ত্র/ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
নির্বাচনের পর এখন জয়-পরাজয়ের বিশ্লেষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জয়ের নেপথ্যে তিনটি বিশেষ কারণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, প্রথমত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন হওয়ার বিষয়টি তাদের জয়ের নেপথ্যের অন্যতম কারণ। এছাড়াও বিগত ১৫বছরে লালমনিরহাটে সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনসম্পৃক্ততাও জয়ের ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া তরুণ ও নারী ভোটাররা উন্নয়নের পক্ষে নৌকাকে একচেটিয়া রায় দেয়ায় লালমনিরহাটের সব আসনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে নৌকার প্রার্থীরা। একইভাবে জাপাসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের জনবিচ্ছিন্নতা, উন্নয়নে কোন অবদান না রাখা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত না করতে পারায় ভরাডুবি হয়েছে জাপাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। এছাড়া জাপাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে প্রত্যাখান করেছে লালমনিরহাটের মানুষ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া জাপাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। এ কারণে তরুণ প্রজন্ম জাপাসহ অন্য দলের প্রতি কোন ভরসা রাখতে পারেনি। নারীরাও মুখ ফিরিয়েছে দল থেকে। আর জাপার দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করায় নিজেদের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি হয় চরমে। ফলে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে ভোটের আগে থেকেই। ভোটের প্রচারেও তাদের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকট। এ কারণে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।
লালমনিরহাটের ৩টি আসনের মধ্যে ১৬, লালমনিরহাট-০১ (পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা) সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মোতাহার হোসেন (নৌকা) ৯০হাজার ৩৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৭, লালমনিরহাট-০২ (কালীগঞ্জ, আদিতমারী) সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহম্মেদ (নৌকা) ৯৭হাজার ৪শত ৩৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৮, লালমনিরহাট-০৩ (লালমনিরহাট সদর) সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মতিয়ার রহমান (নৌকা) ৭৬হাজার ৩শত ৩৮টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।