অযত্ন, অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে লালমনিরহাটের লোকসঙ্গীত। তবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতকে এখনও আগলে রেখেছেন লালমনিরহাটের বেশকিছু শিল্পী। মা, মাটি, দেশ, প্রেম, বিরহের নানা বিষয় নিয়ে গান রচনা ও সুরারোপ করেন তারা। জেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে যে সব শিল্পী এসব গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, ভাল নেই তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মনের টানে তারা সুস্থ সংস্কৃতির ধারাকে ধরে রাখলেও অবহেলিত রয়ে গেছেন সব সময়। সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ, সহযোগিতা আর পরিচর্যার মাধ্যমে গ্রামীণ এই লোক সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। গানের দেশ, সুরের দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। গ্রামগঞ্জের লোক সংস্কৃতির ভিত্তির উপর মজবুত অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা লোক সংস্কৃতি। তেমনি লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রামে এখনও লোকসঙ্গীতকে ধরে রেখেছেন শিল্পীরা। জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত পল্লী গ্রামে লোকসঙ্গীতের আসর বসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক উৎসব এবং হাট-বাজারে এসব শিল্পী নেচে গেয়ে দর্শকদের বিনোদনের খোরাক জোগান। একতারা, দোতারা, ঢোল, বাঁশি, হারমোনিয়াম, মন্দিরা, প্রেম, জুরী ও তবলা এসব বাদ্যযন্ত্র দিয়েই গানে রূপ দেন এসব শিল্পী। হৃদয়ে ভাবের উদয় হলেই মুখে মুখে উপস্থিত গান রচনা ও সুর দিতে তাদের জুড়ি নেই। এ জেলায় পালাগান, জারীগান, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়ার জন্য বিখ্যাত। কিন্তু লোকসঙ্গীত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রচার, প্রসার ও চর্চা অভাবের এ পেশা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অনেক শিল্পী। সেই সঙ্গে শিল্পীদের যাচ্ছে দুর্দিন।