লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন শাক-সবজি ক্ষেতের জমির আইলে অহরহ তিল চাষ করছে কৃষক। সময়ের আবর্তনে এই তিল চাষ কমে গেলেও আবারও জমির আইলে সাথী ফসল হিসেবে তিল চাষ করছেন।
সরেজমিনে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, শাক-সবজির জমির আইলে অহরহ তিলের গাছ শোভা পাচ্ছে। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু ছাগলে তিল খায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না। শীত-বর্ষাসহ সকল ঋতুতেই তিল চাষ করা যায়। বর্তমানে তিল গাছে ফুল ফুটেছে।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন, কিছু সংখ্যক কৃষক স্বল্পপরিসরে সাথী ফসল হিসেবে তিল চাষ করছে। তাদের আবাদী ফসলের সবুজ মাঠগুলোতে সবুজ তিল ক্ষেতের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের অনাবিল হাঁসি পথিকেরও মন কাড়ছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, তিলের পুষ্টিগুনও রয়েছে। এমন আবাদে কৃষক তার নিজ চাহিদা পুরনের পরও বাজারজাত করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কম শ্রম ও কম খরচে সব ধরনের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।