লালমনিরহাটে অন্যান্য ফসলের চেয়েও বেশ লাভবান হওয়ায় দিনের পর দিন বাড়ছে কলা চাষীদের সংখ্যা।
লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতে করা হয়েছে অসংখ্য কলার বাগান। আর কলা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন চাষীরাও। ফলে অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করেছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতেও কলার বাগান করেছেন।
যেখানে অন্যান্য ফসল করে লাভবান হতে পারছে না স্থানীয় চাষীরা, সেখানে কলা চাষে সফল হচ্ছেন। ফলে দিন দিন বাড়ছে কলার বাগানের সংখ্যা। এতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষী। একরের পর একর কলার বাগান করে বছর শেষে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারায় স্থানীয় অনেক যুবকেরা পেশাও বদলাচ্ছেন। অন্য পেশা ছেড়ে আসছেন কলা চাষে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তৃত জমিতে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানের মালিক-কর্মচারীরা। এ উপজেলার পতিত জমির বেশির ভাগেই বালু মাটির আস্তরণ। অন্যান্য ফসল যেখানে তেমন ভালো হচ্ছে না, সেখানে কলা বাগান করে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন অনেকেই।
আবুল হোসেনসহ কয়েকজন কলা চাষী জানান, অন্যান্য ফসল উৎপাদনের চেয়ে কলা চাষে খরচ কম, লাভও বেশি। এ এলাকার যেসব জমিতে আগে ধান চাষ হতো, এখন সেখানে করা হচ্ছে কলা বাগান।
তারা জানান, গত মৌসুমে কলা বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হয়েছিল।
মুদির দোকানদার মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, আমি পাকা কলা এক হালা (৪টি) খুচরা বিক্রয় করি ১৫টাকা হতে ৪০টাকা দরে। কলা চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমরা কলা চাষীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে করে তারা কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।