ডা. জাকিউল ইসলাম ফারুকী
কতোদিন তোমার সাথে দেখা নেই,
এবার ২০২০ প্রথম যখন দেখা হলো,
তোমাকে আমার বই দিলাম,
সেদিন তোমার চোখে ,আমাকে স্পর্শ করার সজল আকুতি ছিলো,
তোমার হাতে লাগানো ‘চালভাদাল’
এর গাছটা দেখিয়ে বললাম,
তোমার আমার লাগানো বৃক্ষ,
কি একটা রহস্যময় হাসি দিলে,
কালিম্পং এ রবীন্দ্রনাথ এর লাগানো শতপর্নী বৃক্ষের কথা
তোমাকে কি বলেছি !
কেমন আছো তুমি, তোমার কথা এই করোনার মহামারীতে বারবার করে মনে আসে, সব কিছু বন্ধ হবে
এমন সময় আসবে,ভাবিনি কখনো।
তোমার কন্ঠের মাঝে কান্না ভেসে আসে,
দেখতে পাই তোমার দুচোখে জল ঝরছে
কেমন এ ভালোবাসা কাঁদায় শুধু।
রমা অনেকদিন পর মনেহলো,
তোমার সাথে দুরে কোথাও বেড়াতে যেতে হবে।
সেবার আদিতমারীতে তোমাদের বাড়ী
কি গহীন গ্রাম,
চাঁদনী রাতের উচ্ছল জোৎস্নায়
মনে হলো,থেকে যাই।
সেই রাত সেই ঊষর মরুর মতো রাত।
আমরা জীবনের কতো রাত কাজ নিয়ে
ওটি তে কাটিয়েছি,
তখনকার সময় অসাধারন,কাজের মাঝে তোমার পেটের অনাগত প্রথম সন্তান, অসুস্থতা নিয়ে কাজ করা,
একদিন তুমি সত্যিই ব্লাকআউট হয়েপরে গেলে,
তোমার দাঁত ভাংলো, ঠোঁটটার মাঝে দাঁতের ভগ্নাংশ গেঁথে রইলো দীর্ঘদিন,
প্রফেশনাল হ্যাজার্ড বলে কথা,
সেদিন তোমাকে পড়ে যাবার আগে,
যদি ধরে ফেলতাম,
তাহলে এমন স্মৃতিভূক হতে পারতাম না।কারন কি জানো, তোমাকে দেখলেঠোঁটে চোখ যায়, দাগ দুটো, সাথে ভেসে ওঠা স্মৃতি।
১১/৫/২০২০
সোনালীপার্ক, লালমনিরহাট।