লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন হাট/বাজারে দেশী মাছের বড় আকাল দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা থেকে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ হারিয়ে গেছে। এগুলো হলো- বাইম, মাগুর, কই, শৈল, বোয়াল, বেলে, চান্দা, পকতা, পুঁটি, টেংরা, আইড় কাল ৰাউস, বাঁশ পাতা, পাতাশী, চেলা, টাকীসহ অসংখ্য মাছ। আগে বিভিন্ন হাট/বাজারে জেলেরা এই সব মাছের পসরা সাজিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করত। এখন এই দৃশ্য প্রায় বিরল। অনুকূল পরিবেশের অভাবে নদ-নদী-জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ হারিয়েই যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর লালমনিরহাট জেলায় চাহিদার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মাছের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এলাকাগুলোতে অধিক পরিমাণে অভয়াশ্রম তৈরি করা গেলে বিলুপ্ত প্রায় দেশী প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
ফুলগাছ গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ হযরত আলী, মোঃ সাহেব আলীসহ অন্যান্যদের মতে, কৃষিজমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ও বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে নদী, নালা, খাল, বিল ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি বিষাক্ত হচ্ছে। আবার বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যে পানিতে মিশে পানি বিষাক্ত করছে। ফলে দেশি মাছ মরে যাচ্ছে। এ ছাড়া এক শ্রেণীর মৎস্যজীবী অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করে দেশি মৎস্য প্রজননে বাধার সৃষ্টি করছে।