:: মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ::
রংপুরে আসছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র শুভাগমনকে কেন্দ্র করে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির হিসেব মিলাতে শুরু করেছেন রংপুরসহ পাশের জেলা লালমনিরহাটের মানুষও।
প্রধানমন্ত্রীর এ শুভাগমনকে ঘিরে লালমনিরহাটের একটি সামাজিক সংগঠন “অতিক্রম” ১২দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- ১. প্রস্তাবিত স্থান মহেন্দ্রনগরে অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করতে হবে; ২. পরিবেশবান্ধব তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাই; মোগলহাট শুল্ক স্থলবন্দর স্থাপনের ঘোষণার বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. লালমনিরহাট থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান যাতায়াত চালু করতে হবে; ৫. রংপুর-লালমনিরহাট-বুড়িমারী ৪ লেন সড়ক করতে হবে। ৬. তিস্তা নদীর উপর ডুয়েল গেজ নতুন রেলসেতু তৈরি করতে হবে; ৭. লালমনিরহাটে পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট চাই; ৮. বুড়িমারী-ঢাকা তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস চালু করতে হবে; ৯. যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও টিটিসির শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে; ১০. লালমনিরহাট শহরে আইসিটি পার্ক দ্রুত বাস্তবায়ন চাই; ১১. ধরলা নদীর দুই ধারে স্থায়ী নদী শাসন করতে হবে; ১২. লালমনিরহাটে কৃষকদের জন্য সরকারি বাজার চালু করতে হবে।
লালমনিরহাট উন্নয়নের দাবি বাস্তবায়ন হলে অত্র অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সংগঠনটি দাবি করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনসাধারণ।
বিশেষ করে আশায় বুক বাঁধছেন লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের মানুষ। তাদের আশা প্রধানমন্ত্রী রংপুরের জনসভায় বহু আকাঙ্ক্ষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সুখবর নিশ্চয়ই দেবেন। কারণ, পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর বন্যা এবং খরায় তিস্তা নদীপাড়ের মানুষের দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। তিস্তার দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে পারে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের পানির জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। তিস্তার কোলে প্রতি বছর বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরুর আকুতি জানিয়েছেন।
অতিক্রমের আহবায়ক হেলাল হোসেন কবির, যুগ্ম আহবায়ক মুহিন রায় ও মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, লালমনিরহাটের এ ১২ দফা বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে লালমনিরহাট। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবিগুলো জানাচ্ছি। এটা আমাদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এতে দারিদ্র্য কমে আসবে। উন্নয়ন আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে।
আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলেই তাঁর এবং তাঁর সরকারের উদ্দেশ্যে আমাদের কিছু দাবি তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে আমাদের মতো সংগঠকদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার কোন সুযোগ নেই। সবদিক থেকে লালমনিরহাট জেলার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে আমাদেরও যে, কিছু কথা, কিছু চিন্তা থাকতে পারে তা সংশ্লিষ্ট কেউ ভেবেও দেখেন না। ফলে দাবি আকারে লিখনির আশ্রয় গ্রহণ করতে হল। আমরা জানিনা মাননীয় প্রধানন্ত্রীর কোন বিভাগের মাধ্যমে আমাদের আশা-আকাংখার কথাগুলো তাঁর দৃশ্যগোচর কিংবা গোচরীভুত হবে কিনা।
তবে, এ দাবিগুলো লালমনিরহাটের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।