শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন
তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদসীমার নিচে; ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক!

তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদসীমার নিচে; ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক!

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে আর লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন বন্যার আশঙ্কা করছেন না। তবে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেছে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা!

 

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৭৫মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

সোমবার (১৭ জুলাই) ভোর থেকে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার আর বন্যার আশঙ্কা করছেন না। তবে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক!

 

ইতিপূর্বে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

 

পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার পানিবন্দি পরিবারগুলো ধিরে ধিরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছেন। ইতিপূর্বে লালমনিরহাট জেলার কিছু কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে ছিলেন। যা দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছেন।

 

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় আর বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে বলে গণমাধ্যমকে বলেন।

 

এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.০৮মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ১০১সেন্টিমিটার নিচে।

 

এছাড়াও ধরলা নদী কবলিত মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

 

অপরদিকে রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও কমতে শুরু করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone