শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ! লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শন অনুষ্ঠিত দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য লালমনিরহাটের হাতিরঝিল! লালমনিরহাটে চর খাটামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)কে চাকুরী হতে অব্যাহতির আবেদন! পাটগ্রামে বিচার ও ফাঁসির দাবীতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র যৌথ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

লজ্জাবতী গাছের ঔষধি যত গুণ!

Exif_JPEG_420

লজ্জাবতী এই উদ্ভিদটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। এ উদ্ভিদটি দেখেছেন অথচ এর পাতা ছুঁয়ে একে লজ্জা প্রকাশ করতে দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এজন্য অনেকে এ উদ্ভিদকে ডাকেন লাজুক লতা নামে। লাজুক স্বভাবের কোন মেয়েকে দেখে আমরা বলি যেন ‘লজ্জাবতী’। এর পাতা স্পর্শ করলেই নববধূর মতো নুইয়ে পড়ে। আর এ জন্যই উদ্ভিদটির নাম লজ্জাবতী।

 

এটি এক ধরনের কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ। অন্যান্য গাছের চেয়ে এ গাছ অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যার কারণে এ গাছ স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে এর পাতা অনেকটাই নেতিয়ে পড়ে।

 

লজ্জাবতী Fabaceae গোত্রের Mimosoideae উপ-গোত্রের বর্ষজীবী, আগাছা ও ওষুধি উদ্ভিদ। এর অনেকগুলো প্রজাতি আছে। সচরাচর আমরা যে লজ্জাবতী উদ্ভিদটি দেখি এর বৈজ্ঞানিক নাম Mimosa pudica. স্থানভেদে এটিকে লজ্জাবতী, লাজুক লতা, লজ্জালু, অঞ্জলিকারিকা বলে। ইংরেজিতে একে Sensitive Plant, Sleepy Plant, Touch-me-not প্রভৃতি নামে ডাকা হয়। এর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে। তবে এটি বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই দেখতে পাওয়া যায়। একক কলোনি তৈরি করে। অন্য কোনো বীরুৎ উদ্ভিদকে এ কলোনিতে জায়গা দেয় না।

 

লজ্জাবতীর কাণ্ড কাঁটাযুক্ত, তুলনামূলক শক্ত। এটি বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ হলেও মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে বাড়ে। এর গাঁট থেকে শেকড় বের হয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে থাকে। এর পাতা দ্বিপক্ষল, সরু ও লম্বাটে। ৮ থেকে ১২ জোড়া পত্রক থাকে। অনেকটা তেঁতুল পাতার মতো দেখতে। পাতার বোঁটার গোড়ার অংশ বেশ মোটা।

 

এর ফুলগুলো বেগুনি ও গোলাপি রংয়ের হয়। দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো গোল, নরম ও সুন্দর। এর পুষ্পদণ্ড ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। পত্র বৃন্ত ও লতার সংযোগস্থল থেকে পুষ্পদণ্ড বের হয়। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে গাছে থোকায় থোকায় ফুল আসে।

 

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর নানামুখী উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমন- কফ দূর করতে, নাক ও কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে, ডায়রিয়া, যেকোনো প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, আলসার, কুষ্ঠ কিংবা যোনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার করা হয়।

 

শ্বাসকষ্ট, আলসার, অর্শ বা পাইলস, পেট ফাঁপা, বদহজম, যেকোনো ক্ষত সারাতে এ গাছের রস ভীষণ কাজে দেয়। এসব সমস্যার সমাধান পেতে ৫ মিলি পরিমাণ লজ্জাবতী পাতার পেস্ট সেবন করতে পারেন।

 

যাদের দাঁত ও মাড়িতে ক্ষত আছে তারা ২০ সেমি লম্বা লজ্জাবতী গাছের মূল পরিষ্কার করে পানিতে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। এ অভ্যাসে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতও নিমিষে দূর হবে।

 

ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী জানান, আমার বাড়ির আঙ্গিনা ও উঠানে কয়েকটি লজ্জাবতী গাছ রয়েছে। এ গাছের হাজারও ঔষধি গুণ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone