(হামিদুল মৃধা স্মৃতিপাঠ)
সবারই একই রকম।
বার্লিনের ছোট্ট একটা পাহাড়ের ওপর
পাহাড়ের ঢালে মানুষেরা ছোট্ট এপিটাফ নিয়ে
কফিনে শুয়ে দীর্ঘ অন্তহীন ঘুমের সময় কাটিয়ে যায়
কি নিবিড় আকাশ আর তারাদের অনন্ত মিছিল।
ওখানে তহমিনা ভাবী আকাঙ্খা করেছে থাকবার।
আর তোমার আবাস কাকিনার সেই মৃধা বাড়ীর উঠানের এক কোনায়।
মন্টি কি এবারও একুশে তোমার সমাধিতে একটা ফুল রেখে আসবার অবসর পেয়েছিলো।
ভুলে যেতে পারে।
ভুলে যাওয়া কি খুব স্বাভাবিক!
কেমন করে ভুলে যায় মানুষ,
অন্তহীন অবসরের মাঝে পবিত্র সব মানুষদের?
কুশলী মানুষেরা পথ দিয়ে হেঁটে যায়,
কবার কিছু নাই বাহে, মানুষটা মরি গেইছে,
কোটে তার তামদারী হইল,
হামরা খাইনো হয় হাত ডুবি,
গরুর মাংসের ঝোল আর মোটা চাইলের ভাত
আলুর ডাইল,
দোয়া করিনো হয়।
কাঁয়ো নাই।
দিন চলি যায়।
হামাক কাঁয় পোছে?
তুমি কই তাহমিনা ভাবী,
কবে হবে অবসর?
আবার পাথরের পাহাড় থেকে নেমে আসবে
ক্রুসবিদ্ধ যীশু,
অথবা হেঁটে যেতে যেতে ক্লান্ত হিমালয়ের তথাগত,
তুমি তাঁদের সাথে এসো,
ট্রেনের হুইসেল বেজে যাবে দুরে,
কাকিনার আকাশে।
সালাম ভাইজান, বকুলভাবী,
ভাবীজান,
এমন দিনে আর কি করা যায়!
২১/২/২৩
টিনটনফলস্, নিউজার্সি, আমেরিকা।