মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাটে সরকারি ওষুধসহ আটক ফার্মেসী মালিক শরাফত আলীর বাড়ির মাটির নিচে গর্ত থেকে এবার ২বস্তা সরকারি ওষুধ উদ্ধার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ৩০ জুন সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা শহরের স্টোরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী শরাফত আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এই সব সরকারি ওষুধ। এর আগে তার মালিকানাধীন টাউন ফার্মেসী থেকে সরকারি ওষুধসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আটক ফার্মেসীর মালিক শরাফত আলী লালমনিরহাট জেলা শহরের ওয়ালেস কলোনীর শমসের আলীর পুত্র। তিনি লালমনিরহাট জেলা শহরের পুরান বাজারের টাউন ফার্মেসীর মালিক।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুন গ্রেফতারকৃত শরাফত আলীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম স্টোরপাড়া এলাকায় আজ মঙ্গলবার ৩০ জুন তার বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ির পিছনে টয়লেট ও উঠানের মাটি খুরে ৭ধরণের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান, সরকারি ওষুধ চুরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য যে, গত ২৩ জুন লালমনিরহাট জেলা শহরের ড্রাইভার পাড়া এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৫প্রকারের সরকারি ওষুধ ও ১শত ৭৫টি ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিনসহ আব্দুর রাজ্জাক রেজা ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই ২জন ও রেজার ভাই এবং আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার মাহবুব আলম, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার জাকারিয়া এবং লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরকিপার মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর আব্দুর রাজ্জাক রেজার তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ জুন লালমনিরহাট জেলা শহরের টাউন ফার্মেসীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধসহ ব্যবসায়ী শরাফত আলীকে গ্রেফতার করা হয়।